নিজস্ব প্রতিনিধি: আষাঢ়ের শুরুতে টানা বৃষ্টিতে উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের ন্যায় বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয় কৈখালী ইউনিয়ন। এবিষয়ে দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরার সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি আমলে নিয়ে এবং সাতক্ষীরা ৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার এর নির্দেশনা মোতাবেক স্থানীয় জনসাধারণকে সাথে নিয়ে খালটি উন্মুক্ত করতে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন সহকারী কমিশনার ভূমি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ। এসময় এলাকাবাসী সাংসদ, উপজেলা প্রশাসন এবং দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরা পরবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
এলাকা বাসীর অভিযোগ বড় মৌ কাটলার খালটি স্থানীয় ভাবে একাধিক ব্যক্তির অবৈধ দখলে থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার মানুষ। এলাকার শতশত বিঘা ধানের ক্ষেত, পানির পুকুর, বসতভিটা হয়েছে একাকার। স্থানীয় জনগোষ্ঠী দীর্ঘদিন এই সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করলেও তা সমাধান না হওয়ায় বিপাকে পড়েন তারা। এসময় স্থানীয় ভাবে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন সমাধানের চেষ্টা করায় ব্যাংক কর্মকর্তা ও বুলবুল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ এর প্রতি স্থানীয়রা কৃতজ্ঞতা জানান।
গত ১৮ জুন দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরা পত্রিকায় উপজেলার দখলে থাকা খাল নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা ব্যাপী আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি হয়।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরার নিউজ শেয়ারের পাশাপাশি পোস্টে উপজেলার সকল খাল উন্মুক্তের দাবী জানান হাজার হাজার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার কারীরা।
শ্যামনগর সহকারী কমিশনার ভূমি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত খালটি বদ্ধ থাকায় এলাকার মানুষ জলাবদ্ধতার অভিশাপে ভুগছে।আমি নতুন আসায় জানতে পারেনি।দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরার সংবাদ প্রকাশ এবং সাংসদ জগলুল হায়দার মহোদয় এর নির্দেশনায় খালটি উন্মুক্ত করা হয়েছে। বুলবুল আহমেদ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ বলেন,এলাকা বাসীর দীর্ঘ দিনের সমস্যা সমাধান হয়েছে। এলাকাবাসী খুবই খুশি।