জি এম মাছুম বিল্লাহ: সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের বিধান চন্দ্র মন্ডল (৩৭) গতকাল করনা আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজন মৃত ব্যক্তির সৎকারের জন্য এগিয়ে আসেননি। বিষয়টা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে সিডিওর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গাজী আল ইমরান এর নেতৃত্বে ও দিক নির্দেশনা মোতাবেক সমাধি কাজে সহযোগিতা করেন সিডিও ইয়ুথ টিমের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, সিডিও ইয়ুথ টিম সদর ইউনিয়ন সভাপতি আনিসুর রহমান মিলন,সদস্য জামাল বাদশা।এসময় উপস্থিত ছিলেন সিডিওর উপদেষ্টা আমিনুর রহমান বকুল। সিডিও ইয়ুথ টিম সেখানে গিয়ে দেখতে পাই হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন বিধান চন্দ্র।তার স্ত্রী এবং ছোট দুটি শিশুর সন্তান ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায়নি।
গাজী আল ইমরানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার আগেই একটি অজানা নাম্বার থেকে ফোন আসলো,বললেন ভাই আমি সাতক্ষীরা হিন্দু যুব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। বিধান চন্দ্র মন্ডল গতকাল মারা গেলেও এখনো তার সৎকার হয়নি।এসময় তিনি সিডিও পরিবারের সহযোগিতা চান।তিনি বলেন, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় এর সাথে কথা হয়েছে,তিনি আপনার সাথে যোগাযোগ করতে বলেছেন। পরবর্তীতে যখন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন সৎকারের জন্য আমাকে বলেন তখন আমি সিডিওর কিছু সাহসী সহযোদ্ধাদের কাছে বললে তারা নির্দ্বিধায় রাজি হযয়ে যান। সৎকারে অংশ নেয়া হাফিজ বলেন জীবনে অনেক ধরনের কাজ করেছিস সিডিওতে এসে তার মধ্যে এই কাজটি আমাদের কাঁদিয়েছে। আমি ভাবতেই পারছিনা একজন মানুষ দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টা মরে পড়ে আছে তার সমাধি করার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি।
আরেক সহযোদ্ধা মিলন বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারে দুইটা শিশু সন্তান আছে তাদের চোখের পানি এবং সমসাময়িক অবস্থা আমার কাছে খুবই হৃদয়বিদারক মনে হয়েছে। অপর সহযোদ্ধা’ জামাল বাদশা বলেন পুরা পরিবার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তিনি ছিলেন ওই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার এই অকাল মৃত্যুতে পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে গেছে। সরকারি কর্তা ব্যক্তিদের পরিবারকে সুদৃষ্টি দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। সিডিওর উপদেষ্টা আমিনুর রহমান বকুল বলেন, বিধানের মত এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু এড়ানোর জন্য সকলকে সরকারি বিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেন।
