নিজস্ব প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে সরকারি প্রজ্ঞাপনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ ব্যক্তিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোনিত করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুন) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শামছুন্নাহার এ তদন্ত সম্পন্ন করেন। জানা যায়, উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের ছনকা গ্রামের শেখ আব্দুল হাদীর ছেলে উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শেখ আমিরুল ইসলাম সম্প্রতি মিথ্যা তথ্য দিয়ে ছনকা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত করিয়েছেন।
বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রের পিতা শেখ আতাউর রহমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপনে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে গেলে বিএ পাশ হতে হবে। অথচ উপজেলার একমাত্র মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি শেখ আমিরুল ইসলাম ইন্টার পাশ। সরকারের প্রজ্ঞাপনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কীভাবে বিএ পাশের সার্টিফিকেট না থাকার সত্তে¡ও শেখ আমিরুল ইসলামকে সভাপতি বানানো হয়েছে। তিনি অভিযোগে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তদন্তের বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি শেখ আমিরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। আমি শুনেছি আমার নামে একটি অভিযোগ হয়েছে। তবে এসব তদন্তের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শামছুন্নাহার বলেন, ছনকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি শেখ আমিরুল ইসলাম জমিদাতা ক্যাটাগরিতে উঠে এসেছেন। তিতি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ ও ৪ বছর মেয়াদী ডিল্পোমা কোর্সের সার্টিফিকেট দেখিয়েছেন। এছাড়া কমিটি গঠনের সময় শেখ আমিরুল ইসলাম ছাড়া কোন প্রার্র্থী না থাকায় তাকেই সভাপতি মনোনিত করা হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন জানান, সরকারি নিয়মের বাহিরে কোন কিছুর সুযোগ নেই। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই সভাপতির পদ বাতিল করা হবে।