Site icon suprovatsatkhira.com

বাণিজ্যিক ভাবে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে হুমকিতে থাকবে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ

জি এম মাছুম বিল্লাহ: ইয়াসের ক্ষত কাটিয়ে না উঠতেই ভাঙন কবলিত খোলপেটুয়া নদী থেকে আবারোও বাণিজ্যিক ভাবে বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে ফের ভাঙনের আশঙ্কায় উপক‚লের গৃহহীন মানুষেরা। সরকারি ভাবে বালু উত্তোলন করা সম্পূর্ণ নিষেধ থাকলেও এ আইন অমান্য করে প্রতিনিয়ত খোলপেটুয়া নদী হতে একটি প্রভাবশালী মহল বাণিজ্যিক ভাবে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করছে।উত্তোলনকৃত বালু এলাকার বিভিন্ন বসত ভিটা, পুকুর, ডোবাসহ বিভিন্ন ভাবে বিক্রয় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

গত ২৫শে মে ঘূণীঝড় ইয়াসের কারণে খোলপেটুয়া নদীর ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। এতে ক্ষতি হয় মানুষের কোটি টাকার সম্পদ।খোলপেটুয়া নদী থেকে বালু উত্তোলনের বিষয় টি জানিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বালু তোলা শ্রমিক। সরজমিনে দেখা যায়, বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের দাতিনাখালিতে পাউবোর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের পাশে ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে খোলপেটুয়া নদী থেকে উত্তোলন কৃত বালু পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিক্রয় করা হচ্ছে। স্থানীয় কলবাড়ী গ্রামের মোস্তাফিজু রহমান বলেন,আমাদের ভাঙন কবলিত এলাকা একটি প্রভাবশালী মহল উন্নয়ন মূলক কাজের নামে প্রতিনিয়ত বাণিজ্যিক ভাবে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রিয় করছে।

বাণিজ্যিক ভাবে বালু তোলা বন্ধ না হলে এলাকা আবার ভেঙে যাবে। দাতিনাখালি গ্রামের সবিলা খাতুন বলেন, ভাঙনের রাস্তার পাশে থেকে বালু উত্তোলন করলে আবার ভেঙে যাবে বাড়িঘর। সরকারের কাছে দাবি ভাঙন এলাকা থেকে বালু তোলা বন্ধ হোক। স্থানীয় ফজলু ও বাসার বলেন, আমাদের সব সময় দুর্যোগের সাথে মোকাবিলা করতে হয়। প্রতিনিয়ত নদী ভাঙনের আতঙ্কে থাকতে হয়।কিন্তু অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলনে ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে। বুড়িগোয়ালীনি ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল বলেন, উপক‚লীয় এলাকা সব সময় ঝুঁকি পূর্ণ ভাঙ্গনের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটে উপক‚লবাসীর।

তাই পরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন করতে হবে।কিন্তু খোলপেটুয়া নদী থেকে অপরিকল্পিত ভাবে যদি বালু তোলা হয় তাহলে আবার ভাঙনের ঝুঁকি পড়বে। বালু উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা হুমায়ূন বলেন, আশাশুনির বালুমহাল থেকে কার্গো যোগে আনা হচ্ছে বালু। বিক্রয়ের বিষয় জানতে চাইলে বলেন, যারা বালু কিনতে চায় তাদের কাছে বিক্রয় করা হবে এতে আপনাদের কি সমস্যা।

শ্যামনগর সহকারী কমিশনার (ভূমি) শহিদুল ইসলাম বলেন,বাণিজ্যিক ভাবে বালু উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই। দাতিনাখালিতে ঈদগাহের জন্য কিছু বালু তোলার কথা বলা হয়েছে। তবে অন্য জায়গায় বালু দিতে পারবে না। এলাকার সুধী সমাজ ও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের দাবী উপকূলীয় এলাকা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হোক। তা নাহলে টেকসই বেড়িবাঁধ হলেও সেটি রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version