খাজরা (আশাশুনি) প্রতিনিধি : আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নে বিশ্ব্যাপী মহামারি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার অংশ হিসেবে চলমান কঠোর লকডাউনের কারণে চলাফেরার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও লকডাউন মানছেন না কেউ। ফলে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন সাধারণ নাগরিক সমাজ। বৃহস্পতিবার (২৫জুন) ইউনিয়নের বাজার,গ্রাম ঘুরে দেখা যায়,সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দোকানপাট,কাচা বাজার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত থাকলেও তা মানছেন না অধিকাংশ ছোট বড় দোকান মালিকরা।
বাজার,ঘাট গ্রামের মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকান গুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শতকরা ৭০জনের মাস্ক পরায় অনিহা। খাজরা ইউনিয়নের সাপ্তাহিক হাটগুলো বন্ধ করা হয়নি। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে ক্ষুদ্র ঋণ আদায়কারী প্রতিষ্ঠান গুলোর সাময়িক ঋণ আদায় না করার অনুরোধ করা হলে এখানে তার উল্টো চিত্র। গ্রাউচ,উন্নয়ন প্রচেষ্টাসহ একাধিক ঋণ প্রদানকারী এনজিও গুলোর কিস্তির টাকা আদায় করতে গ্রাহকের বাড়িতে যাচ্ছেন অহরহ। এমনকি ঋণের কিস্তি না দিলে পরবর্তীতে আর ঋণ দেওয়া হবে না বলেও জানাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এনজিও কর্মী জানান,কিস্তি আদায় করা যাবে না এমন কোন নির্দেশনা আমাদের পরিচালক মহোদয় দেয় নি।
তাই আমরা মাঠ পর্যায়ে কিস্তির টাকা আদায় অব্যাহত রেখেছি। একাধিক ক্ষুদ্র মুদি দোকানিরা জানান,আমাদের অভাবের সংসারে এই দোকান গুলোই একমাত্র সম্বল। আমাদের পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হোক। আমরা লকডাউন মানতে রাজি। এদিকে সরকার ঘোষিত সাতক্ষীরা জেলায় চলমান লকডাউন ঘোষ না পর থেকে খাজরা বাজার,চেউটিয়া ও তুয়ারডাঙ্গা মৎস্য সেট বাজার গুলোতে আশাশুনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায় নি। এমনকি ইউনিয়ন করোনা প্রতিরোধ কমিটির কার্যক্রম চোখে পড়ে নি।
প্রায় ঘরে ঘরে জ¦র,সর্দিসহ করোনার প্রাথমিক লক্ষন নিয়ে অনেক রোগী গ্রাম্য চিকিৎসকের চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। আশাশুনি উপজেলা প্রশাসনের তদারকির অভাবে সাধারণ মানুষ লকডাউন মেনে চলাফেরা না করার প্রধান কারণ বলে অনেকে মনে করেন। খাজরা ইউনিয়নে ইতিমধ্যে ২জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। খাজরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কে অস্থায়ী করোনার চিকিৎসা কেন্দ্র হিসিবে ব্যবহার করার দাবি এলাকা বাসীর। তাই আশাশুনি উপজেলা প্রশাসনের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করে স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস করতে সচেতন এলাকা বাসী দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।