Site icon suprovatsatkhira.com

খাজরায় টানা বৃষ্টিতে ভেসে গেছে মাছের ঘের

খাজরা (আশাশুনি) প্রতিনিধি : আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নে আষাঢ় মাসের শুরুতেই টানা তিন দিনের অতিবৃষ্টিতে অধিকাংশ মাছের ঘের ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে । নি¤œাঞ্চলসহ খাল,পুকুর,নালা ও বিলে পানিতে থৈ থৈ করছে। এদিকে ইউনিয়নের অধিকাংশ সরকারি নদী ও খালে অবৈধ নেট পাটা ব্যবহার করার ফলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এবং কালকীর ¯øুইজ গেটের মুখে পলি পড়ে ভরাট হওয়ায় নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার(১৮জুন) সকালে ইউনিয়নের মৎস্য ঘের এলাকা ঘুরে জানা যায়,ইউনিয়নের তুয়ারডাঙ্গা, গদাইপুর, কাপসন্ডা, চেউটিয়া, খালিয়া, পিরোজপুর, খাজরা, রাউতাড়াসহ কয়েকটি বিলে পাশ্ববর্তী কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদী থেকে লবন পানি উত্তোলন করে ২০হাজার বিঘার মত ছোট,বড়,মাঝারি বাগদা, হরিনা, ভেটকি, পারসে মাছের মৎস্য ঘের আছে। মৎস্য ঘেরের ভেড়িবাধ গুলো অত্যান্ত সরু প্রকৃতির ও কম উচ্চতা সম্পন্ন। ফলে বুধবার,বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দিবাগত রাতে টানা তিন দিন থেমে থেমে ও কখনও একটানা ঘন্টা ব্যাপী বরষনে অধিকাংশ মৎস্য ঘের গুলো তলিয়ে একাকার হয়ে গেছে।

কেউ কেউ ভেড়িবাঁধের উপরে নেট টাঙিয়ে মাছ আটকানোর চেষ্টা অব্যহত রেখেছে। চেউটিয়া নদী ও খালকীর খালে একাধিক জায়গায় নেট পাটা থাকায় পানি সরবরাহের গতি কমে গেছে। খালিয়া রাজবংশীপাড়া সংলগ্ন কাচা রাস্তা ওভারফ্লু হয়ে পাশ^বর্তী ধান্য জমিতে পানি প্রবেশ করতে দেখা যায়। স্থানীয় ঘের মালিকদের অভিযোগ, ইউনিয়নের সøুইজ গেট গুলোর মুখে অতিরিক্ত পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষা ও জোয়ারের সময় খালগুলো দিয়ে যে পানি প্রবেশ করে তা ঠিকমত পানি নিষ্কাশন হয় না। এছাড়াও অধিকাংশ বদ্ধ নদী ও খালের পয়েন্টে পয়েন্ট নেট পাটা ও বাধ দেওয়ার ফলে এ সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করে। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই আমাদের মৎস্য ঘের তলিয়ে যায়। আমাদের হাজার হাজার টাকার মাছ ভেসে যায়। আমরা চরম ক্ষতির মুখে পড়ি। অবৈধ নেট পাটা অপসারণ ও ¯øুইজ গেটের সামনের অংশে খনন করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচতেন এলাকা বাসী।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version