Site icon suprovatsatkhira.com

কলারোয়ারগয়ড়া বাজারে পানি নিষ্কাশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা।

লাঙ্গলঝাড়া (কলারোয়া) প্রতিনিধি: কলারোয়ার গয়ড়া বাজারে পানি নিষ্কাশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা কলারোয়ার চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া বাজারে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা খুবই নাজুক। এখানে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। অতীতে প্রাকৃতিকভাবে যে অবস্থায় ছিলো বর্তমানেও অনেকটা একই অবস্থায় আছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারলেও কিছু ভূমি ও রাস্তা দখলদারের কারণে তা ব্যর্থ হয়ে পড়েছে। কলারোয়া উপজেলার ইউনিয়ন ভিত্তিকের মধ্যে সব চেয়ে বড় বাজার হচ্ছে গয়ড়া বাজার। এক সময় ছিল এখানে জমিদারের বসবাস। সেই গয়ড়া বাজারে আছে ব্যাংক,বীমা,ভূমি অফিস। আছে স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা,এতিম খানাও।

গয়ড়া বাজারে সাথে আছে পশর্^বর্তী যশোরের শার্শার বেনাপোল ও বাগআঁচড়ার যোগাযোগ। শার্শার দুটি ইউনিয়ন ও কলারোয়ার দুটি ইউনিয়নের মানুষ নিয়মিত চলাচল পাশাপাশি ব্যবসার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। এই বাজারে যত্রতত্র ভাবে দোকান ও বসতি স্থাপনের কারণে আজ এই জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতাই পিচঢালা রাস্তা নষ্ট হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। দেখা যায়, বৃষ্টি হলে রাস্তা থেকে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার মধ্যেই জায়গায় জায়গায় পানি জমে থাকে। কয়েকদিন জমে থাকা এ পানিই পিচ ঢালা রাস্তাকে নষ্ট করার জন্যে যথেষ্ট। গয়ড়া বাজারের হাইস্কুলের গেট থেকে শুরু করে চন্দনপুর কলেজ মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি তার দু’পাশের অংশ থেকে নীচু। বৃষ্টি হলে এ রাস্তার পানি সরতে পারে না। ফলে প্রতি বর্ষাতে এ রাস্তার পিচ নষ্ট হয়ে যায়।

এই বাজারের আরো অনেক রান্তা রয়েছে। রাস্তার ক্ষয় রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে অনেক রাস্তারই স্থায়িত্বের ক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন এ বিষয়ে অভিজ্ঞজনেরা। এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, জনসচেতনতাই পারে সরকারি সম্পদ রক্ষা করতে। তার পরও রাস্তা টিকিয়ে রাখাসহ পানি অপসারণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, জলাবদ্ধতা রাস্তার খুব বেশি ক্ষতি করে। কোনো রাস্তায় যদি ৪-৫ দিন পানি জমে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি নিশ্চিত থাকেন সে রাস্তা শেষ। তাই রাস্তা করার আগে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকা জরুরী।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version