Site icon suprovatsatkhira.com

আশাশুনিতে লকডাউন মানা হচ্ছে না , আক্রন্ত আরও সাতজন

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার সকল ইউনিয়ন এখন করোনা রোগীতে ভরতে শুরু করলেও সরকারি-বেসরকারি কোন পর্যায়ে তেমন কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। ২য় ঢেউয়ে ৮৯ জন করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসলেও লকডাউন ঘোষণা করে সাইনবোর্ড স্থাপন ও বিধিনিষেধ কড়াকড়ির কোন কার্যক্রম না দেখে এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১২ জুন) উপজেলার ৭ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। তারা হলেন, রতন মল্লিক (৪০) হাজীপুর, চন্দনা (৩৫) নওয়াপাড়া, শোভা মল্লিক (৪০) আশাশুনি সদর, মনোয়ার (৬০) বাওচাষ, সুব্রত (৩৭) বুধহাটা, মরিয়ম (৪৫) বড়দল ও এ বি লতিফ (৬৫) আশাশুনি সদর।

এনিয়ে আশাশুনি উপজেলায় ১৩০ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। যার মধ্যে ৪১ জন গত বছরের এবং ৮৯ জন চলতি ২য় ঢেউয়ে সংক্রমিত হয়েছে। আশাশুনি উপজেলায় ১৩০ জন সংক্রমিতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী সংক্রমিত হয়েছে শোভনালী ইউনিয়নে এবং পরবর্তীতে আছে বুধহাটা ইউনিয়ন। শোভনালী ইউনিয়নে ৩১ জন, বুধহাটা ইউনিয়নে ২২ জন, কুল্যা ইউনিয়নে ৫ জন, দরগাহপুর ইউনিয়নে ২ জন, বড়দল ইউনিয়নে ৩ জন, আশাশুনি সদরে ১৩ জন, শ্রীউলা ইউনিয়নে ৪ জন, খাজরা ইউনিয়নে ২ জন, আনুলিয়া ইউনিয়নে ১ জন, প্রতাপনগর ইউনিয়নে ২ জন ও কাদাকাটি ইউনিয়নে ৪ জন। করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে চিকিৎসাধীন থাকাদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে বাইরের সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা, পরিবারের সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাপারে শৈথিল্যতা ও কড়াকড়ি তেমন নেই বলে এলাকার মানুষ অভিযোগ করেছেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version