আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে পুলিশ সেজে প্রকাশ্য দিবালোকে চিংড়ি মাছ বহনকারীকে আটকে ফিল্মি স্টাইলে টাকা ছিনতাই করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে আশাশুনি সাতক্ষীরা সড়কে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ইউএনও পরিচয়ে ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা আদায়ের পর পুলিশ পরিচয় ছিনতাইয়ের ঘটনায় মানুষের মধ্য আতঙ্ক বিরাজ করছে। শ্রীউলা ইউনিয়নের মহিষকুড় গ্রামের আকবর মোড়লের ছেলে রিপন হােসেন ঘটনার সময় তার ইঞ্জিন ভ্যানে মহিষকুড় থেকে বাগদা চিংড়ি নিয়ে মহেশ্বরকাটি মৎস্য সেটে আসছিল।
আশাশুনি ব্রিজ পার হওয়ার পর ছিনতাই চক্রের সদস্যরা মটর সাইকেলে তাকে অনুসরণ করছিল। ভ্যানটি আশাশুনি সাতক্ষীরা সড়কের চিলেডাঙ্গা মোড়ে পৌছলে লাল স্টিকার লাগানো কালো রঙের হোন্ডা মটর সাইকেলে দু’ছিনতাইকারী তার পথ রোধ করে বলে আমরা পুলিশ গাড়ি রাখ, হাত উঁচু কর। এভাবে তারা নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভ্যান চালককে লাঠি উচিয়ে হুমকি দিয়ে হাত উচু করে দাঁড়াতে নির্দেশ করে। তখন ভ্যান চালক রিপন হাত উচু করে দাঁড়ালে ছিনতাইকারীরা তার কাছে অবৈধ মাল আছে দাবী করে দেহ তল্লাসী করতে থাকে।
এক পর্যায়ে ফিল্মি স্টাইলে মানি ব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে ব্যাগে থাকা ৬১০০ টাকা বের করে খালি মানি ব্যাগ ও মোবাইল ফেরৎ দিয়ে দ্রæত ভ্যান চালিয়ে যেতে আদেশ করে। ভ্যান চালক যাত্রা শুরু করলে ছিনতাইকারীরা দ্রæত আশাশুনির দিকে কেটে পড়ে। ভীতিকর অবস্থায় ভ্যান চালক মৎস্য সেটে পৌছে সকলকে বিষয়টি জানায়। ভ্যান চালক রিপন জানান, লম্বা আকৃতির, গায়ের রং পরিষ্কার গালাগাল মুখমন্ডলের মাঝারি স্বাস্থ্যবান ছিনতাই কারির জিন্সের প্যান্ট ও অ্যাশ কালারের গেঞ্জি গায়ে ছিল। মটর সাইকেলে থাকা দ্বিতীয় জনও লম্বা, পরিষ্কার ও গোলগাল চেহারার। ভ্যানচালক রিপন আরো বলে দেখলে সে তাদরকে চিনতে পারবে। এ ব্যাপারে ওসি গোলাম কবির জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনা জেনেছি। পুলিশ নয়, ছিনতাইকারী চক্র এটি ঘটাতে পারে। ভিকটিমের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নিয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।