গাজী আল ইমরান,নিজস্ব প্রতিনিধি. করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক জেলা ব্যাপি চলছে কঠোর লকডাউন। সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বন্ধের পাশাপাশি মানুষ চলাচলে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। করোনা সংক্রমণ অতি মাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় ২য় বারের মতো আবারো লকডাউন দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
কিন্তু সরকারি এই আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে খোদ সরকারি প্রতিষ্ঠান পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ)। শুধু পিডিবিএফ নয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্রাক,আশা, গ্রামীণ ব্যাংক,ঢাকা আহছানিয়া মিশন সহ উপজেলার বিভিন্ন ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান তাদের কিস্তি আদায়ের কার্যক্রম চালু রেখেছে।
লকডাউন চলায় গ্রামের সাধারণ মানুষের আয় কমায় খাবার জুটছেনা অনেকের। এরপরেও ঋণের কিস্তি গুনতে পেরে বাড়ি ছাড়ছে অনেকেই। করোনা সুরক্ষায় সরকার মানুষের সাথে মানুষের সামাজিক দুরত্ব বাড়াতে চাইলেও তা কোনোভাবেই মানতে নারাজ ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল তার ফেসবুক পোস্টে ক্ষুদ্র ঋণ আদায় বন্ধ রাখার অনুরোধ জানালেও কর্ণপাত করেনি কেউ। সরকারি ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান যেখানে নিজেই কিস্তি আদায়ে মরিয়া সেখানে অন্য প্রতিষ্ঠানের কথা বলা বাহুল্য।
লকডাউন অমান্য করে কিস্তি আদায় বিষয়ে কথা হলে শ্যামনগর উপজেলায় পিডিবিএফ অফিসার ইব্রাহিম হোসেন বলেন, আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি, বিগত দিনে যেভাবে কাজ চলছিল সেভাবেই চলছে। এছাড়া আমাদের জেলা অফিস খোলা রেখেছে এজন্য আমরাও খোলা রেখেছি।উপজেলার মুন্সিগঞ্জ, কৈখালী সহ একাধিক গ্রামের গ্রামের ঋণ গ্রহীতারা বলেন পিডিবিএফ থেকে ঋণ গ্রহন করে খুবই কষ্টের মধ্যে আছি। লকডাউনের কারণে আয় কমায় সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে।একই সাথে কিস্তি চালানো আমাদের জন্য মরার উপর খাড়ার বাড়ি।
সদর ইউনিয়নের মোক্তার হোসেন নামের এক ঋণ গ্রহীতা বলেন আজ সকালেও ঢাকা আহছানিয়া মিশনের মাঠ কর্মী কিস্তি নিয়ে গেছে। কিস্তি না দিলে খুবই খারাপ আচরণ করছে। নিজেদের খাওয়া এরপরেও আবার কিস্তি।কিস্তি আদায় বিষয়ে ঢাকা আহসানিয়া মিশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাঠ কর্মী এর সাথে কথা হলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে বলেন, আমরা কিন্তি নিতে যাচ্ছি কেউ দিলে নিচ্ছি না দিলে চলে আসছি। করোনা কালীন সময়ে আপনারা কেন ঝুঁকি নিয়ে গ্রাহকের বাড়িতে যাচ্ছেন এমন কথা শুনেই ফোন কেটে দেন।
এবিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ.ন.ম আবুজর গিফারী বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানতাম না।আমি অবশ্যই বিষয়টি দেখব।