জুন ৩০, ২০২১
বাজারের পোল্ট্রি হাট দখল: অভিযোগের তীর তহসিলদারের দিকে
নিজস্ব প্রতিনিধি: সুন্দরবন উপক‚ল ঘেঁষা ইউনিয়ন মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন বাজার, নদী বা খাল পাড় একের পর এক দখল নিয়েছে ভূমিদস্যুরা। মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দায়িত্বে থাকা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি অফিসার আইনুল হক এর সহযোগিতায় ভূমি দস্যুতা দখলবাজিতে মেতে উঠেছে বলে জানান স্থানীয়রা। বিতর্কিত এই ভূমি কর্মকর্তা বাজারে ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। সম্প্রতি তার ইশারায় মুন্সিগঞ্জ বাজারের পোল্ট্রি হাট দখলের ঘটনা ঘটেছে। সূত্রমতে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ বাজার কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে, জালাল, মজিদ গাজী, মোস্তফা, গফফার, ইয়াকুব আলী, খোকন, রহিম, সহিদুল মোড়ল সহ আরো কয়েকজন ব্যক্তি রাতের অন্ধকারে এই জায়গা দখল করেছে বলে জানাযায়। মুন্সিগঞ্জ বাজারের পোল্ট্রি হাট টি সাপ্তাহিক বাজার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। বাজারে অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা তৈরি হওয়ায় বিপাকে পড়েন সাপ্তাহিক বাজারের জন্য আসা ব্যবসায়ীরা। একপ্রকার বাধ্য হয়েই নদীর চরে গড়ে ওঠা পোলট্রি বাজারটি সাপ্তাহিক বাজারের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীরা। ইতিপূর্বে ভূমিদস্যুরা কয়েকবার পাঁয়তারা চালিয়েছেন দখল করার জন্য। উপজেলা প্রশাসনের সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপের কারণে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য সফল হয়নি বলে জানান ভুক্তভোগীরা। বর্তমান মহামারি করনাকালীন সময়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনদের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তার সহযোগিতায় রাতারাতি কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা তৈরি হয়। বিষয়টি ভূমি কর্মকর্তা কে জানানো হলেও কোনো রকম ব্যবস্থা নেননি তিনি। উপায়ান্তর না দেখে স্থানীয়রা উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। জেলা প্রশাসক উচ্ছেদের নির্দেশ দিলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো কথাই আমলে নেননি স্থানীয় ভূমি অফিসার। গত ২৭শে জুন (রবিবার) ঘটনাস্থলে আসলেও নতুন কোনো স্থাপনা খুঁজে পাননি তিনি এমন কথা জানিয়েছেন। স্থানীয়রা নতুন স্থাপনাগুলো দেখিয়ে দিলেও শুধু দখলকৃত ঘরের সামনের বারান্দার চালের ছাউনী খুলে মূল ঘরটি অক্ষুন্ন রেখে চলে যান। স্থানীয়দের দাবি অভিযুক্তের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে উচ্ছেদ না করেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন ভূমি কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ভূমি কর্মকর্তা আমাকে উচ্ছেদের জন্য লেবার ঠিক করতে বলেন। লেবার ঠিক করার পরে তাকে জানানো হলে তিনি খরচের টাকা দাবি করেন। খরচ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখেন। মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের আবুল হোসেন গাজী বলেন, আমাদের ইউনিয়ন ভূমি অফিসার আইনুল হক দীর্ঘদিন এই তফশিলে থেকে একেরপর এক দুর্নীতির আখড়া তৈরি করলেও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসেনি। আইনুল হক ঘুষের বাহিরে কোন কথা বলতে চাননা। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি বাজারটি পরিকল্পিত ভাবে সাজাতে যত্রতত্র দখল হওয়া ঘরগুলো উচ্ছেদ করে পরিকল্পিত ভাবে সাজাতে হবে। এবিষয়ে শ্যামনগর সহকারী কমিশনার ভূমি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, আমি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি অফিসারকে বলে দিয়েছি শীঘ্রই উচ্ছেদ করা হবে। আমি কোনো দখল বাজদের পক্ষে কাজ করতে চাই না। কেউ দখল বাজি করলে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। 8,640,456 total views, 5,455 views today |
|
|
|