জি এম মাছুম বিল্লাহ: নদীর পানি প্রবেশ রোধ ও লোকালয়ের পানি নিষ্কাশনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড দেশের বিভিন্ন স্থানে ¯øুইজ গেট নির্মাণ সেটি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহলের সুবিধার জন্য। ইতিপূর্বে কয়েক জায়গায় স্ইলুজগেট ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়েছে অনেকবার। ক্ষতি হয়েছে কোটি টাকার সম্পদ। প্লাবিত হয়েছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের সহ ধানের জমি। তারপরও কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেননি কোন সময়ই। সংস্কার বা অন্য কিছুর কথা বললে দ্রæত এড়িয়ে যান পানি উন্নয়ন বোর্ডে চাকরিরতো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে চুনার নতুন গেট, মুন্সিগঞ্জ বাজার সংলগ্ন কদমতলা খালের গেট, হরিনগর বাজার সংলগ্ন আইবুড়ি নদীর গেটটির ভগ্নদশা দীর্ঘ দিন ধরে। চুনা গ্রামের ফজলু বলেন, বেশি পরিমাণ মাছের আশায় কিছু মানুষ গেটের পাটায় ইট বা শক্তকিছু ঢুকিয়ে দেয় যাতে জোয়ারের পানি বেশি পরিমাণ ভিতরে প্রবেশ করে। জোয়ারের পানি বেশি পরিমাণ প্রবেশ করলে ভাটায় বেশি মাছ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এজন্যই তারা এই অনৈতিক কাজ করে থাকে। মুন্সিগঞ্জ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল ঘেরে পানি উঠানোর জন্য বছরের শুরুতে গেটের পাটা উঠিয়ে দেয় যাতে বেশি পরিমাণ পানি ভিতরে প্রবেশ করে।
এভাবে ওঠা নামানোর কারনে পাটাগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এটা থেকে সংশ্লিষ্টরা সহ বিভিন্ন মহল মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা ভোগ করে। ইতিপূর্বে মুন্সিগঞ্জ বাজার সংলগ্নস্ইলুজগেটটি নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মানববন্ধন হলেও কোনো কাজ হয়নি। এমনকি কয়েকজন পড়ে আহতসহ একজনের মৃত্যু হয়েছে তারপরও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। গত ১৬ই জুন মুন্সিগঞ্জ গেটের পাটার হাতল ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিচ্ছিন্ন পাটার সংযোগ না দেওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। একদিকে জোয়ারের পানির চাপ অন্যদিকে প্রচন্ড বৃষ্টির পানির কারণে প্লাবিত হচ্ছে উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম।
ক্ষতি হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার মৎস্য সম্পদ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এস ও মাসুদ রানা জানান, আমাদের ডিভিশনে নতুন পাটা নেই আমরা চেষ্টা করতেছি অন্য ডিভিশন থেকে নতুন পাটা এনে এটি সংস্কারের। স্থানীয়দের দাবি সংস্কার হোক স্ইলুজগেটটির। নাহলে জোয়ারের পানির চাপ ও প্রচন্ড বৃষ্টির কারণে প্লাবিত হতে পারে আরও অনেক এলাকা। ক্ষতির পরিমাণ আরো অনেক বেডড়ে যেতে পারে।