লাঙ্গলঝাড়া (কলারোয়া) প্রতিনিধি: কলারোয়ায় মানছে না লকডাউন। প্রশাসন বা ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখা মাত্রই দোকান বন্ধ। চলে গেলে বেচা বিক্রি শুরু। সার্বিক হাল হকিকত দেখলে মনে হবে কলারোয়ায় যেন ভেঙে পড়েছে লকডাউন। জেলাব্যাপী করোনার বিস্তার রোধে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও সড়কে দেখা গেছে ভ্যান,ইজিবাইক মাহেন্দ্র কাভার্ডভ্যান, মাইক্রো, প্রাইভেটকার ও মোটর সাইকেল। আর এসব যানবাহন চলাচলের কারণে মানুষ ছোট খাটো প্রয়োজনেই ঘরের বাইরে বেরিয়ে পড়ছে। কেউ কেউ লকডাউন দেখতেও বাজারে আসছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর সদরে লকডাউন মানার প্রবণতা কম হলেও গ্রামাঞ্চলের হাট বাজারে লকডাউন মানার প্রবণতা নেই। বাজার সওদা চলছে ঠিক আগের মতোই। স্বাস্থ্য বিধি কি তা জানেই না অনেকে। গতকাল সরসকাটি ও খোর্দ ছিল সাপ্তাহিক হাটবার। বাজারে ভিড় করে মানুষ কেনা করেছে। সকালে যশোর থেকে সাতক্ষীরা প্রবেশের প্রতিটি পয়েন্টে কড়া কড়ি আরোপ করা হলেও দুপুরের পর সব ফাঁকা হয়ে যায়। দিব্যি রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়ে হেলে দুলে জেলার প্রবেশ দ্বার পার হয়েছে মানুষ ও পণ্যবাহি গাড়ী। সড়কে যানবাহন রোধসহ লকডাউন মানতে করনীয় ঠিক করতে গতকাল কলারোয়ায় এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জরুরী সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তালা-কলারোয়ার সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
সভায় অন্যান্নদের মধ্যে অংশ নেন কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আক্তার হোসেন, কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবির, কলারোয়া মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিম, ইজিবাইক, মটরভ্যান ও মটর সাইকেল সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। সভায় করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আজ সোমবার থেকে সড়কে সব ধরণের যানবাহন বন্ধ করার বিষয়ে সকলে একমত পোষন করেন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা বাসিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ লকডাউন সফল করতে সম্মতি দিয়েছেন উপজেলা মটর শ্রমিক, ভ্যান ও ইজিবাইকসহ বিভিন্ন সমিতির নেতৃবৃন্দ। সভায় ইজিবাইক,মটর ভ্যান ও মটর সাইকেল শ্রমিকের তালিকা করে জরুরী খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু।