Site icon suprovatsatkhira.com

সুন্দরবনে বনবিভাগের অভিযানে ১৫ বস্তা চিনিসহ সাত মৌয়াল আটক

জি এম মাছুম বিল্লাহ: সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবনের কলাগাছিয়া অফিসের নিয়ন্ত্রণাধিন বাদুড়ঝুলি এলাকার কুমনিওয়ালা খাল থেকে সাত মৌয়াল ও ১৫ বস্তা চিনি সহ মধু তৈরির সরঞ্জামাদী আটক করেছে বনবিভাগ। ২১মে (শুক্রবার) আনুমানিক রাত আটটার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৌয়ালদের হাতে নাতে আটক করতে সম্ভব হয়েছে বলে জানান বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ। স্টেশন কর্মকর্তা বলেন বৃহস্পতিবার সকালে বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন থেকে মধু কাটার পাশ নিয়ে গাবুরা ৯নং সোরা এলাকার আব্দুল হাকিম শেখের ১৪ জনের একটি মৌয়াল দল সুন্দরবনে প্রবেশ করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদে জানতে পারি উক্ত পাশকৃতরা চিনির বেশ কিছু বস্তা নিয়ে সুন্দরবনের প্রবেশ করছে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি এসিএফ স্যারকে জানানো হলে তিনি অভিযান পরিচালনা করার কথা বলেন।

অভিযান পরিচালনা করে আমরা সাত জনকে আটক করতে সক্ষম হই এবং তাদের কাছ থেকে চিনি ১৫ বস্তা, ড্রাম ৩৫ পিছ (৩০ লি. পানি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন), দাঁড় ৯ টি,বৈঠা ৪টি,দা ২টি,কুড়াল ১টি,মোবাইল ২টি,বল্ব ১টিসহ নগদ ৩০০০ টাকা আটক করতে সক্ষম হই। দুইটি মোবাইল ও নগদ তিন হাজার টাকা আটককৃতদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটককৃতরা হলেন সত্তার মোড়ল (৪৫) পিতার মৃত্যু নুরমান মোড়ল, কুবাত আলী (৫০) পিতা মৃত্যু হাজের বদ্ধি, শাহাদাত (৫০) পিতা মৃত্যু এলাহী বক্স মালী, সাহেব আলী (৫২) পিতা মৃত্যু সফদুল গাজী, ইয়াসিন গাজী (৪৫) মজিদ গাজী (৫০) উভয় পিতা মৃত্যু ফুলচাদ গাজী, সবাই গাবুরা ইউনিয়নের ৯নং সরা গ্রামের বাসিন্দা অপর জন পদ্মপুকুর ইউনিয়নের গড়কোমরপুর গ্রামের মোসলেম সানার পুত্র আবু বক্কর (৫২)। ১৪ জনের পারমিশনে সাতজন ধরা খেলো বাকি সাতজন বহাল তবিয়তে সুন্দরবনের ভেতরে অবস্থান করছে বলে জানান ধৃতরা। বাকি সাতজন হলেন, কামরুল শেখ ও শাহজাহান শেখ পিতা হালিম শেখ, হাকিম শেখ মোহাম্মাদ মোড়ল, রেজাউল, আমজেদ, রব্বানী। ঘটনা সুত্রে জানাযায় গাবুরা ইউনিয়নের কিন্তু হাকিম শেখ ও জিয়াদ মোড়লের ছেলে মোহাম্মদ মোড়ল দীর্ঘদিন ধরে কিছু অসাধু মৌওয়ালীদের দিয়ে অভিনব কায়দায় ভেজাল মধু তৈরী কারবার চালাচ্ছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এরা দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল মধু বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে থাকে। আটককৃতরা ও তাদের সহযোগিতাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন সুধীমহল। ১৯৭৪ সালের বিশেষ আইনে খাদ্যে ভেজাল দেয়ার অপরাধে তাদেরকে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়। স্থানীয় সুধীজনদের মন্তব্য বন আইনের ধারায় মামলা দিলে অপরাধীরা পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে জামিনে বেরিয়ে এসে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যায়। আটককৃত সাতজনের বাইরে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে যাদের নাম করা হয়েছে। তারা সংশ্লিষ্ট মামলায় আসামি হবেন কিনা জানার জন্য কলাগাছিয়া অফিসের স্টেশন কর্মকর্তাকে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version