জি এম মাছুম বিল্লাহ: বাংলাদেশ সরকারে পরিবেশ ও বন জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের ২৫ অক্টোবর ২০২০ এক প্রজ্ঞাপন জারি করেন। সেখানে বলা হয়েছে কোন ব্যক্তি সুন্দরবন জীব-বৈচিত্র্য রক্ষার্থে বনাঞ্চলে অথবা বাহিরে যদি বন অপরাধীদের সাথে জড়িতদের (বিষ দিয়ে মাছ ধরা,বন্যপ্রাণী হত্যা,ফাঁদ দিয়ে হরিণ ও বাঘ শিকার,ধরা,মারা,পাচার করা) বিষয় তথ্যসহ সরেজমিনে ধরিয়ে দিতে পারলে। তাদের জন্য সরকারি ভাবে আর্থিক পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। এসকল অপরাধীদের ধরিয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট ফরেস্ট স্টেশনে যোগাযোগ করতে হবে। সেই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা রেঞ্জ পশ্চিম সুন্দরবন খুলনার বনবিভাগের পক্ষ থেকে ১০ই মে (সোমবার) ১২ টায় বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন,কদম তলা স্টেশন,কৈখালী স্টেশন থেকে এক যোগে বনবিভাগ ও সি পি জির সদস্যরা মাইকিং,লিফলেট ও হ্যান্ডবিলের মধ্য দিয়ে প্রচারণা শুরু করে।
সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে কোন ব্যক্তি বনের ভিতরে বাঘ মারা সহ অপরাধীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০,০০০ অথবা স্থলে ধরিয়ে দিতে পারলে ২৫,০০০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। কুমিরের ক্ষেত্রে বনের ভিতরে ৩০,০০০ ও বাইরে ১৫,০০০টাকা। হরিণের ক্ষেত্রে বনের ভিতরে ২০,০০০ ও বাইরে ১০,০০০টাকা। পাখি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর ক্ষেত্রে বনের ভিতরে ১০,০০০ ও বাইরে ৮,০০০টাকা করে আর্থিক পুরস্কার প্রদান করা হবে। এবিষয় কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বন অপরাধীদের ধরিয়ে দিতে পারলে যে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেটা মানুষ কে জানানোর জন্য আমরা প্রচার শুরু করেছি। যারা তথ্য দিবে তাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। তিনি আরো বলেন, সুন্দরবন আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ সুন্দরবনকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রত্যেক সচেতন নাগরিকের রাষ্ট্রের স্বার্থে বনবিভাগকে তথ্য দিয়ে সুন্দরবনকে রক্ষা করার অগ্রণী ভূমিকা পালন করার জন্য আহŸান জানান।