নিজস্ব প্রতিনিধি: কখনও সাংবাদিক, কখনও টিভি চ্যানেলের ক্যামেরাম্যন পরিচয় দিয়ে আম ব্যবসায়ী, চেয়ারম্যান, মেম্বরসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে রেজাউল ইসলাম নামে এক ক্যমেরাম্যানের বিরুদ্ধে সে দিপ্ত টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রঘুনাথ খাঁ এর ক্যামেরাম্যান। তার বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি গ্রামে।
এ ঘটনায় সাতক্ষীরার সিনিয়র সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ কয়েকজন ভুক্তভোগি ব্যক্তি, অভিযোগ সূত্রে জানাযায় ঈদ উপলক্ষে দিপ্ত টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরা পার্সন ও সাংবাদিক পরিচয়ে বেশ কয়েকটি সরকারি দপ্তর থেকে টাকা নিয়ে এসেছেন রেজাউল। এছাড়া কয়েকজন চেয়ারম্যানকে টাকা না দিলে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
এর আগেও রেজাউলসহ কয়েকজন ক্যামেরাম্যানের বিরুদ্ধে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়শন, ভোমরা ইমিগ্রেশনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার মানুষকে হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ আছে।
তালা উপজেলার ইসলামকাটি গ্রামের তৗেহিদুর রহমান জানান, রেজাউল একসময় জামাত শিবিরের রাজনীতি করত। ২০১৪ সালে পুলিশি হয়রানি ও মামলা থেকে বাঁচতে সে এসএ টিভির সাংবাদিক শাহিন গোলদারের সাথে ক্যামেরাম্যানের কাজ শুরু করে। তখন থেকে সে এলাকায় কম আসে।
গত বছর স্থানীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নিউজ করার ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এছাড়া বিভিন্ন সময় এলাকার মানুষকে মামলা ও নিউজ করার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলি সুজন জানান, রেজাউলসহ কয়েকজন ক্যামেরাম্যানের বিরুদ্ধে অনেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন। আসলে এটি আমাদের দেখার বিষয় না। টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ জেলায় কোন ক্যামেরাম্যান নিয়োগ দেন না। জেলা প্রতিনিধিরা তাদের কাজের প্রয়োজনে এসব ছেলেদের কাজে নেয়। এরা যদি কোন অন্যায় করে সেটি দেখার দায়িত্ব তাদের। এছাড়া পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলে তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
তবে চাঁদাবাজির বিষয়টি অস্বিকার করে রেজাউল ইসলাম দাবি করেন, আমরা ক্যামেরাম্যনরা সারাবছর তাদের সংবাদ প্রচার করি। প্রতিনিধিরা আমাদের কোন বেতন দেয় না। ঈদের সময় আমরা সবার কাছে ঈদ সালামি নিয়ে থাকি। এটা দোষের কিছু না। আপনাকে কে এই নিউজ করতে বলেছে? আমিও কিন্তু সাংবাদিক। এসব বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান সুপ্রভাত সাতক্ষীরাকে জানান, কয়েকজন ক্যামেরাম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।