Site icon suprovatsatkhira.com

খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে কচ্ছপগতি

খাজরা (আশাশুনি) প্রতিনিধি: আশাশুনির খাজরায় ৪নং ওয়ার্ডের খালিয়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৫৮নং খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে শুরু থেকেই কচ্ছপ গতির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে স্থানীয় অভিভাবক সুত্রে ও বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়,স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে প্রায় ৭৭লক্ষ টাকা ব্যয় নির্ধারন করে ৪তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট ১তলা ভবন নির্মাণ ২০১৯ সালের ১১ই মার্চ মের্সাস শেখ এন্টারপ্রাইজ,নকিপুর,শ্যামনগর নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের মাধ্যমে নির্মাণ কাজ পায়। মের্সাস শেখ এন্টারপ্রাইজ ঢাকাস্থ রুটস টেক কমিউনিকেশন নামে আরেক সাব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে নির্মাণ কাজের দায়িত্ব দেন। সেখান থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ভূগর্ভে বালু দ্বারা পাইলিং করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে পেয়ার নির্মাণের জন্য গর্ত খোড়া হয়েছে। পেয়ারে ব্যবহৃত রড বৃষ্টিতে ভিজে মরিচা ধরার অবস্থায় পড়ে আছে। ৫টি ধাপের মধ্যে ২টি ধাপ সম্পন্ন হয়েছে, বাকী ৩টি ধাপ কোন নাগাদ শেষ হবে তা বলা বাহুল্য। এমনকি নির্মাণ কাজের পাশে প্রকল্প ব্যয়,শুরু ও শেষ সম্বল্বিত সাইনবোর্ড থাকার নিয়ম থাকলে এখানে তার উল্টো চিত্র। পরিদর্শনকালে সেখানে কোন শ্রমিককে কাজ করতে দেখা যায় নি। ফলে স্থানীয় অভিভাবকসহ এলাকাবাসী সরকারের এই উন্নয়নের গুনগত মান সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন। স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার হাফিজুল ইসলাম ও অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য আবু মুছাসহ এলাকাবাসী জানান,এখন করোনার সময়ে স্কুলটি বন্ধ আছে। এই সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ শেষ না হলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া পরিবেশ চরম ভাবে ব্যহত হবে। তাছাড়া নতুন ভবন নির্মাণের জন্য খোড়া মাটি বিদ্যালয়ে মাঠের চারপাশে স্তুপ করে রাখার ফলে ছেলেমেয়েদের খেলার মাঠ নেই বললে চলে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারনে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান জানান,বর্তমানে স্কুলটিতে দুইচালা টিনের ঘরে শ্রেণীকক্ষসহ আমাদের অফিস রুম।

প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে আমাদের দাপ্তরিক কাজ কর্ম করতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ দ্রæত শেষ না হলে স্কুল খোলার সাথে সাথেই আমাদের ভোগান্তি আরও বেড়ে যাবে। এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোন ফল মিলছে না। এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস শেখ এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত¡াধীকারী শেখ মুনতাকদীর আলমের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,আমি এখন ব্যস্ত আছি বিকালে আপনার সাথে কথা বলবো। আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজুমুল হুসাইন খান ও উপজেলা প্রকৌশলী আক্তার হোসেনের মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে ফোন রিসিভ না হওয়ায় তাদের মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি। দ্রæত নির্মানাধীন নতুন ভবনের কাজ শেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার,উপজেলা প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী অভিভাবকবৃন্দ।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version