Site icon suprovatsatkhira.com

কেউ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি: জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

আলী মুক্তাদা হৃদয় : সাতক্ষীরায় শহরে মার্কেটগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ মানছেনা সামাজিক দূরত্ব। প্রশাসনের লোকজনের তদারকি না থাকায় ঠিক আগের মত চলছে বাজার, দোকানপাট ও সবধরনের যানবাহন। লকডাউন শুরুর পর সাতক্ষীরা পৌর শহরে দোকানপাটগুলো বন্ধ থাকতে দেখা যায়। ঈদকে সামনে রেখে এবং দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে লকডাউন শিথিল করা হয়। সামাজিক দুরত্ব ও মাস্ক ব্যাহার দোকানের সামনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সরকারি আইন মেনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখতে বলা হয়। ফলে সরকারের অঘোষিত লোকডাউন শিথিল এরপর শহরের বড় বাজার এবং বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্সসহ শহরের প্রায়সব মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনা-কাটা জমে উঠেছে। ঈদ মার্কেটে কেনা-কাটা করতে আসা নারী-পুরুষরা কেউ সামাজিক দুরত্ব ও মাস্ক ব্যবহার না করে দোকানে হুমড়ি খেয়ে কেনা-কাটা করছে। রমজানের আগে থেকে লকডাউন ঘোষণার পর থেকে শহরের মার্কেটসহ সবধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকায় লকডাউন শিথিলের পর শহরের সবগুলো মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। বিশেষ করে এসব মার্কেটগুলোতে নারীও শিশুদের সংখ্যা বেশী।

সোমবার (১০ মে) শহরের বড় বাজার এলাকার বিভিন্ন ছোটবড় শপিংমল ও ফুটপাতের বাজার সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায, মার্কেটে বিপুল সংখ্যক ক্রেতার আগমন। বেচাকেনাও চলছে ভালো। অনেকেই পরিবার-পরিজন এমনকি শিশুদের সঙ্গে নিয়ে কেনাকেটা করতে এসেছেন। মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ঘরের বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরিধান এবং নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। তবে লক্ষণীয় বিষয় হলো মার্কেটগুলোতে আগত ক্রেতাদের বেশিরভাগেরই মুখে মাস্ক ছিল না। এমনকি গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করতে দেখা যায় তাদের। শহরের বড় বাজারের মোহনা ফ্যাশান এর মোজাহিদ দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরাকে জানান, দোকানে ক্রেতাদের ভিড় আছে কিন্তু প্রত্যাশিত বেচাকেনা নেই। মাত্র ৭দিন সময় পাওয়া যাবে এতে কি রমজানের ৩০ দিনের বেচাকেনা করা সম্ভব। কারন হিসাবে তিনি জানান, করোনাভাইরাসের কারনে ঈদের বাজারে প্রভাব পড়েছে। লন্ডন প্লাজার আল-আকিব বলেন বেচাকেনার গতি বেশ ভালো যেভাবে চলছে এভাবে চললে গত বছরের চেয়ে এবার ব্যাবসা ভালো হবে। ক্রেতা মীম তার বান্ধবী লিমাকে নিয়ে এসেছেন শহরের আছাদুল চেয়াম্যনের মার্কেটে এসেছেন মার্কেট করতে। মীম দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরাকে জানান, গত দুই ঈদে কেনাকাটা করতে পারিনি করোনা মহামারীর কারণে। তাই এই ঈদে কেনাকাটা করতে এসেছি। তবে আমরা সবাই যদি শারীরিক দূরুত্ব নিশ্চিত করে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলি তাহলে আমাদের জন্যই ভালো। কুখরালী এলাকার বাসিন্দা শারমিন তার শিশু সন্তানকে নিয়ে চায়না বাংলা শপিং কমপ্লেক্সে এসেছেন। ওদের জন্য টি-শার্ট ও নিজের জন্য পোশাক কিনেছেন। তিনি বলেন গত দুই ঈদে কেনাকাটা করতে পারিনি। তাই ঈদকে সামনে রেখে টুকটাক কেনাকাটা করতে বের হয়েছি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version