Site icon suprovatsatkhira.com

  কাল পবিত্র ঈদ-উল ফিতর

ডেস্ক রিপোর্ট : আগামীকাল শুক্রবার পবিত্র ঈদুল ফিতর। আজ বৃহস্পতিবার ৩০ দিন সিয়াম সাধনার পর আগামীকাল উদযাপিত হবে মুসলিম সম্প্রদায়ের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। তবে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ঈদকে ঘিরে যে আনন্দ-উচ্ছ¡াস থাকার কথা তা এবারও ¤øান করে দিয়েছে মহামারী করোনা ভাইরাস। করোনা মোকাবিলায় ও সংক্রমণ বিস্তার রোধে সরকারের নির্দেশনায় এবার খোলা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। সাতক্ষীরাসহ সারাদেশে ঈদের জামাত হবে মসজিদের ভেতরে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে। বুধবার বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪২ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে রোজা ৩০টি পূর্ণ হচ্ছে। সে হিসেবে শুক্রবার (১৪ মে) দেশব্যাপী মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে। বুধবার (১২ মে) রাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এর আগে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করতে সন্ধ্যা ৭টায় (বাদ মাগরিব) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সদস্য ধর্ম সচিব মো. নুরুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মুশফিকুর রহমানসহ দেশের বরেণ্য আলেমরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয়, করোনা সংক্রমণ রোধে এবার খোলা মাঠে ঈদের নামাজের জামাত হচ্ছে না। ঈদ জামাত হবে মসজিদের ভেতরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে। এবার হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত হচ্ছে না। হচ্ছে না শত বছরের ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানের ঈদ জামাতও। তবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রতি বছরের ন্যায় ঈদের ৫টি জামাত স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (১১ মে) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাতটি অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এদিকে এবার ঈদ জামাত আয়োজনে কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা জানান, এবারের ঈদে আমাদের পক্ষ থেকে খোলা মাঠে ঈদ জামাত আয়োজনের কোনো উদ্যোগ থাকছে না। তবে সরকারের নির্দেশনা মেনে মসজিদগুলোয় ঈদ জামাত আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনায় ঈদ উপলক্ষে কোলাকুলি ও হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতেও বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সবাইকেই মাস্ক পরতে হবে এবং নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থ ব্যক্তির সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। অপরদিকে উন্মুক্ত স্থানে ঈদের জামাত আয়োজন করার পরামর্শ দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। দেশের আলেম, ওলামা এবং সংশ্লিষ্ট মহলকে বিষয়টি ভেবে দেখার আহŸানসহ করোনা পরিস্থিতিতে কেন এটা করা দরকার, তাও জানিয়েছে  অধিদফতর। বুধবার (১২ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাপ্তাহিক স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘উন্মুক্ত স্থানে ঈদের জামাত আদায় করার পরামর্শে আমরা বিজ্ঞানকে প্রাধান্য দিয়েছি। খোলামেলা জায়গায় নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়ালে এবং বায়ু প্রবাহ থাকলে, সেটি কিন্তু সংক্রমণ না ছড়ানোর কাজে সহায়তা করবে। সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধর্ম মন্ত্রণালয় যেটি বলেছে, সেটি আমরা পরীক্ষা করে দেখবো। তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। আশা করি, আমরা খুব দ্রæত এটি সুরাহা করতে পারবো।’

 

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version