Site icon suprovatsatkhira.com

ঈদের দিন দায়িত্বপালনরত চিকিৎসকদের প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পবিত্র ঈদের দিন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বপালনরত চিকিৎসকবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা এবং পরিবার পরিজন ফেলে সার্বক্ষণিক নিরবিচ্ছিন্ন সেবা প্রদানের জন্য সাতক্ষীরা জেলা আওয়মী লীগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের পরামর্শক্রমে ও সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদের নেতৃত্বে এই মহতী কার্যক্রমে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি নিন হাতে রান্না করা খাবার চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে গিয়ে হস্তান্তর করেন। সমগ্র কার্যক্রমটি সমন্বয় করেন জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত ঘোষ। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত ছিলেন ডা. সোমা দে, ডা. অসীম কুমার সরকার, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বরত ছিলেন ডা. ইলিকা ঘোষ, ডা. অনিক গুহ, ডা. চৈতী ঘোষ মিতু, ডা. অনিন্দ দাশ সৌরভ, ডা. শংকর কুমার ঘোষ, ডা. প্রিন্স কুমার ঢালী, ডা. ভবতোষ কুমার মন্ডল। জেলা আওয়মী লীগের নেতৃবৃন্দ বলেন, হাজার রছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীর বছরে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হািসনা -এঁর সুযোগ্য, দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে চিকিৎসা খাতসহ প্রায় সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশে^র বুকে আজ রোল মডেল।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অর্জনের একটা বিশেষ জায়গা জুড়ে রয়েছে স্বাস্থ্যখাত। এমনকি মহামারী করোনাকালেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এদেশের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা যে ভূমিকা রেখে চলেছেন তা বিশে^র বুকে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। করানাকালে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১৫০ জনের বেশি নবীন-প্রবীন-অভিজ্ঞ চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পেশাজীবী হিসেবে সবচেয়ে বেশি শহীদ হয়েছেন চিকিৎসকবৃন্দ। বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের সকল প্রগতিশীল আন্দালনেই অগ্রনী ভূমিকা রেখেছেন চিকিৎসকরা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে চিকিৎসকদের প্রথম শ্রেণীর পদমর্যাদা দেন যা চিকিৎসকরা কৃতজ্ঞতাচিত্তে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। চিকিৎসকদের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হািসনা সর্বোচ্চ আন্তরিক। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের এই ব্যাতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এবং তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দৃয়িত্বরত চিকিৎসকগণ বলেন, পবিত্র ঈদের দিন সকলেই যাতে নিরাপদে পরিবার পরিজনের সাথে ঘরে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাটাতে পারেন সেজন্যই আমরা আমদের পরিবার পরিজন ফেলে হাসপাতালে আছি। আমদের কথা ভেবে এই দিনে আপনারা যারা মমত্বরোধ নিয়ে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, আপনাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

আমদের আছে জনবলের ঘাটতি, ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৪/৫ গুণ রোগী ভর্তি থাকে হাসপাতালে, প্রতিদিন প্রায় ৭/৮ গুণ বেশী রোগীর সেবা দিতে হয় প্রত্যেক চিকিৎসকের। এরপরও চিকিৎসকরা প্রতিনিয়তই হসিমুখে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন যে যার অবস্থান থেকে সাধ্যানুযায়ী। আপনারা যে যার জায়গা থেকে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি সহযোগিতার হতে বাড়ান, সহমর্মিতার আর মমত্ববোধ নিয়ে পাশে দাঁড়ান দেখবেন আমরা আপনাদের সেবায় জীবন উৎসর্গ করে দিতেও কার্পণ্য করবো না। আমরা চাই প্রতিটি রোগীই সর্বোচ্চ সেবা পাক আর সর্বস্তরের স্বাস্থ্যকর্মীরাও নিরাপদ থাক। চিকিৎসক-রোগী সম্পর্ক ভাল থাকলেই ভাল থাকবে বাংলাদেশ। আমরা সকলেই প্রত্যাশা করি সুস্থ-সবল-নীরোগ সাতক্ষীরা আর বাংলাদেশ।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ ভবিষ্যতেও এইরূপ জনকল্যাণমূলক কাজ অব্যহত রাখবেন বলে জানান নেতৃবৃন্দ। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version