রনি হোসেন: আশাশুনির আনুলিয়া ইউনিয়নে কপোতাক্ষে বিলিন হওয়া দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ স্বোচ্ছাশ্রমে সংস্কার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোর থেকে এলাকার দুই হাজার মানুষ এ বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করে দুপুরের জোয়ার আসার আগেই তা শেষ করে। আনুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন বলেন, গত বুধবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাতে ও নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তার ইউনিয়নে নাংলা খেয়াঘাট হতে গোকুলনগর পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তা কপোতাক্ষ নদীর পানিতে বিলিন হয়ে যায়। পানিতে ভেসে যায় কয়েক হাজার মাছের ঘের ও পুকুর। বসত ভিটা ছেড়ে জীবন বাঁচাতে মানুষ চলে যায় আশ্রয় কেন্দ্রে। জান মাল বাঁচাতে ইউনিয়ন বাসিকে নিয়ে পর দিন বৃহস্পতিবার বাঁধটি আটকানোর চেষ্টা করা হয়। এসময় পানির তীব্র ¯্রােতে বাঁধ টিকিয়ে রাখা যায়নি।
শুক্রবার ভোরে ফের লোকজন সংগঠিত করা হয়। করনিয় ঠিক করে নিজ অর্থে ৬শ’ বাঁশ ক্রয় করি। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে খালি বস্তানিয়ে ৩ হাজার নারী পুরুষ সাথে নিয়ে বাঁধটি বাঁধার চেষ্টা করি। দুপুরে জোয়ার আগেই রিং বাঁধ সম্পন্ন হলে যায়। আটকে যায় কপোতাক্ষের জোয়ারের। এসময় মানুষ আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে। ইউপি সদস্য শওকত হোসেন, নাংলা গ্রামের জহির ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তিরা জানান, বাঁধ সংস্কারে স্থানীয় পাউবোর সহায়ত চাইলেও তারা কিছু খালি বস্তা ছাড়া আর কোন সহায়তা করেনি। তবে মানুষ প্রাণপণ চেষ্টা করে রিংবাঁধ দিয়েছে। থেমে গেছে পানির ¯্রােত। পরে নাংলা খেয়াঘাট এলাকায় পানিতে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সরকারি বরাদ্দকৃত ২ টন চাল, ৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার (শিশু খাদ্য) বিতরণ করা হয়। এসময় আশাশুনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী, ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন, শওকত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, সমাজসেবক মফিজুল মোল্যা, আরিফুর ইসলাম বাবু, আব্দুস সুবান মোল্যা, কামাল হোসেন গাজী, আনারুল ইসলাম লিটন হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।