কলারোয়া প্রতিনিধি : আম্ফানে আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র ও প্রান্তিক আম চাষিদের আর্থিক সমস্যা মেটাতে সাতক্ষীরার কলারোয়াতে সরকারি প্রণোদনায় (৪% মুনাফায়) বিনিয়োগ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (৩১ মে) সকালে উপজেলা পৌরসভার অডিটোরিয়াম হলরুমে রাজকীয় নেদারল্যান্ড দূতাবাসের অর্থায়নে সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া এবং এর সহযোগী সংস্থা উত্তরণ ও জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন যৌথভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে (সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড লিংকেজ) সফল প্রকল্পের বাস্তবায়নে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম সল্প মুনাফায় বিনিয়োগের এসব অর্থ কৃষকদের মাঝে বিতরণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র ও প্রান্তিক আম চাষীদের কৃষিকাজে আর্থিক সমস্যা মেটাতে সরকারি ও বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে প্রণোদনা প্রাপ্তিতে কার্যকারী সহযোগিতা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারের প্রণোদনা সহায়তার আওতা (৪% মুনাফায়) সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার সহযোগিতায় এ অঞ্চলের ৪৪ জন আম চাষিদের মাঝে প্রায় ৫৭ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদানের প্রস্তাব দেয়া হয়। যা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক আলোচনা সাপেক্ষে অনুমোদন পায়। এই ৪৪ জন চাষির মধ্যে আজ প্রথম ধাপে ১৯ জন (মোট ১৮.৬ লক্ষ টাকা) প্রণোদনা পাচ্ছে এবং বাকিরা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। স্বল্প মুনাফায় (৪% হারে) ঋণের এ অর্থ চাষিরা ১ বছর ৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে পারবে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরার সহযোগিতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ইমরান হোসেন, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরার এভিপি এন্ড ম্যানেজার রাশিদুল ইসলাম, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার কমোডিটি ম্যানেজার কৃষিবিদ ড: নাজমুননাহার, উত্তরণ ও সফল প্রকল্পের খুলনা অঞ্চলের প্রকল্প ব্যাবস্থাপক কৃষিবিদ ইকবাল হোসেন, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার প্রোগ্রাম অফিসার সাপ¬াই চেইন কৃষিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান, উত্তরণ সাপ¬াই চেইন অফিসার শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের আম চাষি নজরুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবের পর করোনার প্রাদূর্ভাবে কৃষি কাজে আর্থিক অবস্থার খুবই নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে স্বল্প মুনাফার এ ঋণ অনেক বড় পাওয়া যা কৃষি ও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে আরও প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সহায়তা করবে। উল্লেখ্য, সফল প্রকল্পটি খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোর ও নড়াইল জেলার ৭৫ হাজার দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সবজি-ফল মাছ ও দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধি ও টেকসই বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে ২০১৩ সাল থেকে উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে কৃষকদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করে চলেছে।