Site icon suprovatsatkhira.com

হ্যাকারের খপ্পরে পড়ে টাকা খোয়ালেন বিকাশ এজেন্ট

ডেস্ক রিপোর্ট : হঠাৎ বিকালে এক বিকাশ এজেন্টের ফোনে রিং টন বেজে উঠল। কলটি রিসিভ করতেই একজনের কণ্ঠ ‘হ্যালো ভাইয়া আমি ডিএসও বলছি, আপনিতে বিকাশের নতুন এজেন্ট এ জন্য অ্যাপস পেতে অফিস থেকে কল দিতে পারে আপনি যে তথ্য চাই সঠিক দিয়ে সহযোগিতা করবেন। কলটি কেটে দেয়ার এক মিনিটের মধ্যেই একটি অজ্ঞাত ০১৫৭১২১০৬৯১ নম্বর থেকে এজেন্ট নাম্বারে ফোন আসে। ‘হ্যালো স্যার, আমি বিকাশ থেকে বলছি, আপনার নম্বরটি নতুন এজেন্ট অ্যাকটিভ করা হয়েছে।

অ্যাপস এর মাধ্যমে লেনদেন করতে হলে আপনার অ্যাকাউন্টে সর্বনিন্ম ৫০ হাজার টাকা থাকতে হবে তা না হলে আপনি অ্যাপস ব্যাবহার করতে পারবেন না। মোবাইলে অ্যাপস সচল করতে আপনার এজেন্ট নাম্বারে ক্যাশ ইন করুন।’ এজেন্ট নাম্বারে ২৫ হাজার টাকা লোড নেওয়ার পর বিকাশ থেকে ০১৯৮৪১১৬৪৪৭ নাম্বারে সেন্ডমানি ম্যাসেজ আসে। যাতে ১২ হাজার ৮৯৯ টাকা লেনদেন দেখায়। এভাবে পরবর্তীতে মোট ৩৭ হাজার ৮শ’ ৯৯ টাকা খোয়া যায়।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকালে কলারোয়া উপজেলার তুলসীডাঙ্গা পারিখুপি এলাকার সহিল উদ্দীন দফাদারের ছেলে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামের সাথে এ ঘটনা ঘটে। হ্যাকারদের কবল থেকে টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনের ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে স্থানীয় বিকাশের কলারোয়া অঞ্চলে দায়িত্বে থাকা ডিএসও জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিকাশের এজেন্ট অ্যাপ চালু হয়েছে এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। আমরা কেবল এজেন্টের কাছে টাকা ট্রান্সফার করি। আমাদের নাম্বারটা কেবল বিটুবির জন্য ব্যবহার করা হয়। আর বিটুবি নাম্বার মূলত প্রথম হ্যাকাররা হ্যাক করে। আমার বিটুবির নাম্বার হ্যাক করে এজেন্ট এর সাথে কথা বলে প্রতারিত করে।

এ বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মীর খায়রুল কবীর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘রবিউল ইসলাম নামে এক বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীর টাকা হ্যাকাররা কৌশলে লোপাট করেছে এমন একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version