সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক এক ব্যক্তির বসতভিটা জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন উপজেলার খোশালখালি আবাদ চন্ডিপুর গ্রামের মৃত আলিমুদ্দিন মল্লিকের ছেলে আনছার আলী মল্লিক। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শ্যামনগর উপজেলার আবাদ চন্ডিপুর এলাকার মৃত আছির উদ্দিন গাইনের ছেলে অমেদ আলী গাইনের নেতৃত্বে এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠেছে। তার এই সন্ত্রাসী বাহিনীতে একই এলাকার বিল্লাল, মোশাররফ গাইন, রেজাউল গাজী, রহমত আলী, আল মামুন, ইব্রাহিম, নুর মোহাম্মদ, জাবেদ আলী গাইন, রাশেল গাজী, আজিবর সরদার ও কামরুল সহ ২৫/৩০ জন সদস্য রয়েছে। তারা এলাকার চিংড়ি ঘের দখলসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত। ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে তারা টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে।
তাদের বিরুদ্ধে শ্যামনগরসহ বিভিন্ন থানায় নাশকতা, ঘর জ্বালানিসহ প্রায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে। তারা আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আমার ভিটাবাড়ির কিছু অংশ দখল করে রেখেছে। আনছার আলী মল্লিক আরো বলেন, আমার ক্রয়কৃত একখন্ড জমি রয়েছে। যা বর্তমানে আমার দখলে আছে। আমি ওই জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছি। উল্লিখিত বাহিনীর লোকজন আমাকে এই বলে হুমকি দিচ্ছে যে, হয় জমি তাদের দিতে হবে, না হলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। জমি দিতে রাজি না হওয়ায় তারা আমার নামে বারবার মিথ্যে মামলা দিচ্ছে এবং আমার ও পরিবারের উপর হামলা করছে। তারা আবারও আমার নামে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যে মামলা দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এঘটনায় ৮ ফেব্রæয়ারির আমি শ্যামনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি । তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ৬ এপ্রিল আমি সংবাদ পাই যে, তারা আমার বাড়িতে হরিণের চামড়া রেখে বনবিভাগকে খবর দিয়ে আমাকে ধরিয়ে দিবে। সে কারণে ওই রাতে আমরা সকলে রাতভর বাড়ির চারিদিকে ডিউটি করি। রাত একটার দিকে বন বিভাগের লোক আমার বাড়িতে এসে বলে তোমার ধানের গোলার ভিতরে হরিণের চামড়া রয়েছে আমরা তল্লাশি করব। ধানের গোলা তল্লাশি করে কিছু না পেয়ে বন বিভাগের লোকজন যখন ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সময় হঠাৎ বাইরে থেকে প্রাচীরের ভেতর কিছু পড়ার শব্দ পেয়ে তারা সেখানে যেয়ে দেখেন একটি পলিথিনের ভিতরে হরিণের চামড়া রয়েছে।
বন বিভাগের লোকজন সেটা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা আমাকে বলেন, যে কেউ তোমাকে ষড়যন্ত্র করে হরিণের চামড়া দিয়ে ধরিয়ে দিতে দিতে চেয়েছিল। তিনি আরো বলেন, হরিণের চামড়া দিয়ে ধরিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়ে অমেদ আলী গংরা আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। সে কারণে উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের ভয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাতে আমাকে বাড়ির বাইরে থাকতে হচ্ছে। বর্তমানে আমি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।