রাকিবুল ইসলাম: সাতক্ষীরায় ঢিলে-ঢালাভাবে লকডাউন চলছে। সোমবার সকাল থেকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন সড়কের মোড়ে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা গেছে। দুরপাল¬ার পরিবহন বা সাতক্ষীরা থেকে আটটি রুটে কোন বাস বা ট্রাক যানবাহন চলাচল করছে না। দোকান-পাট খোলা। অন্যদিকে কাচা বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানছেননা কেউ। মাছ বাজারেও একই অবস্থা। বড় আকৃতির গরু জবাই করে তা মাইকিং করে বিক্রি হচ্ছে গ্রামের হাট বাজার গুলোতে। তাছাড়া মাস্ক পরিধানে অনীহা রয়েছে অনেকেরই। তবে লকডাউন সফল করতে সোমবার দুপুর বারোটার দিকে জেলা ও উপজেলা সদরে প্রশাসনিক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে শহরের নিউমার্কেট মোড়, ইটাগাছা হাটের মোড়, কামালনগর সঙ্গিতা মোড়, পাকাপুলের মোড়, প্রাণসায়র দিঘির পাড় মোড়, নারকেলতলা মোড়, ডে-নাইট কলেজ মোড়, খুলনারোড মোড়সহ বিভিন্ন মোড়ে ঘুরে দেখা গেছে, চায়ের দোকানগুলোতে মানুষের ব্যাপক ভীড়। এছাড়া দলবদ্ধভাবে মাস্ক ছাড়াই গল্প-গুজবে মশগুল রয়েছেন অনেকেই।
করোনা পরিস্থিতিতে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং জরুরি কাজ ছাড়া বের না হওয়া,এসব সরকারি নির্দেশ থাকলেও তা মানছেন না সাধারণ মানুষ।
শহরে দোকানপাট খুলেছে আগের মতই। তবে বড়বাজারের কাচা বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে কেনা-কেটা করছেন অধিকাংশ ক্রেতা।
বাস টার্মিনাল থেকে দুরপাল¬া ও স্থানীয় আটটি রুটে বাস বের হতে দেখা যায়নি। তবে চলছে মাহিন্দ্রা, ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত ভ্যানসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রাইভেটকার। ইজিবাইক ও মাহিন্দ্রা ভাড়া করে সাতক্ষীরা থেকে অনেকে কলারোয়া, তালা, পাটকেলঘাটা, আশাশুনি, দরগাহপুর, কালিগঞ্জ, নলতা, দেবহাটার কুলিয়া, সদরের ভোমরা, ব্রহ্মরাজপুর, ঝাউডাঙ্গা, বৈকারিসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছেন।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, লক ডাউন ভঙ্গ করলে এবং শর্তাধীন কার্যক্রমকালে স্বাস্থ্য বিধি না মানলে বা শর্ত ভঙ্গ করলে মোবাইল কোর্টে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে।
তিনি আরও জানান, করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে লকডাউন বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে জেলার তিনটি সীমান্তবর্তী পয়েন্টে ৬জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। সীমান্তের ওই পয়েন্টগুলো হচ্ছে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের সুভাষিনী বাজার, আশাশুনি-পাইকগাছার বাঁকা বাজার ও সাতক্ষীরা-যশোর সড়কের কলারোয়া।
সাতক্ষীরায় ঢিলে-ঢালা লকডাউন
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/