জি এম মাছুম বিল্লাহ: শ্যামনগর উপজেলার গাবুরার চাঁদনীমুখা গ্রামে রান্না করা হরিণের মাংস জব্দের ঘটনায় প্রশাসনের হাত থেকে বাঁচতে ও বাঁচাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাঁদনীমুখা গ্রামের একাধিক ব্যক্তি বলেন, বন বিভাগের লোকজন অভিযুক্ত নূরীকে হাতে পাওয়ার পরও ছেড়ে দিয়েছে। অভিযানের শুরুতে বন বিভাগকে ইঙ্গিত করে নানান ধরনের কটু কথা বলতে থাকে নূরী। রান্না করা মাংস পাওয়ার পরে তাকে আটকের নির্দেশ দিলেও তিনি সেখান থেকে ফিল্মি স্টাইলে চলে যান। এখন মামলা থেকে বাঁচতে চলছে বিভিন্ন রকমের দেনদরবার এমনটাই বলছিলেন অভিযোগকারী। প্রসঙ্গত; গতকাল ২২শে এপ্রিল বৃহঃবার সকাল ১০টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালীনি, কপোতাক্ষ ও কাঠেশ্বর যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে গাবুরা ইউনিয়নের চাঁদনীমুখা গ্রামের ফজর আলীর পুত্র খলিল গাজী (৩৫) এর বাড়ির রান্নাঘর থেকে রান্না করা অনুমানিক ১ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করেন বনবিভাগের সদস্যরা।
বিয়টি জানার জন্য এসিএফ এম এ হাসানের কাছে ফোন দিলে তিনি বলেন, বিষয়টা সুলতান সাহেবের কাছে শোনেন উনি ভাল জানেন। বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। আটকের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, কাউকেই বাসায় পাওয়া যায়নি, স্পিড বোর্ডের শব্দে সবাই পালিয়েছে, মহিলারাও নেই বাড়িতে কাকে আটক করব বলেন? এদিকে যার বাড়ি থেকে মাংস উদ্ধার করা হয়েছে সেই খলিল বলেন, আমরা সকাল থেকেই বাড়িতে ছিলাম না। আমার চাচাতো ভাইদের সাথে অন্যদের রাজনৈতিক শত্রæতার জের ধরে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমরা বাড়িতে না থাকার সুযোগ টাই নিয়েছে প্রতিপক্ষরা। আমি গরিব মানুষ আমার তিনটা মেয়ে ছড়াা আর কিছুই নেই। দয়া করে আমাকে রাজনীতির বলির পাঠা করবেন না।
এই বিষয়টা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ধার করা হরিণের মাংসের ব্যাপারে মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে এমএ হাসান বলেন, যাদের সংশ্লিষ্টতায় মাংস উদ্ধার করা হয়েছে মামলার দায়িত্ব তাদের উপর বর্তায়। এক্ষেত্রে কাঠেশ্বর অফিস মামলার তদন্ত করবেন বলে জানান তিনি। কাঠেশ্বর অফিসের সরকারি ফোন ০১৯৯৯০০৫৮১০ নাম্বারে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি উক্ত অফিসের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।