এপ্রিল ১১, ২০২১
জমির বিরোধে হয়রাণী করতে মিথ্যা মামলা প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করতে না পেরে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে এক ব্যক্তিকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও তার বিরুদ্ধে মিথ্যেচারের অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগর আবাদচন্ডিপুর গ্রামের মৃতআছের উদ্দীন গাইনের ছেলে অমেদ আলী গাইন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শ্যামনগরের আবাদচন্ডীপুর মৌজায় এস এ ৪৯৭, ডি.পি ২১৬ নং খতিয়ানে এস এ ২৩৪ হাল ৭৭৯ দাগে .৩৩ একর জমি ক্রয় করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছিলাম। গত ২০১৮ সালে একই এলাকার মৃত আলিমউদ্দীন মল্লিকের ছেলে চিহ্নিত হরিণ শিকারি মামলাবাজ আনসার মল্লিক ভিন্নদাগে আমার সম্পত্তির পাশে ২২ শতক সম্পত্তি ক্রয় করে অবৈধভাবে আমাদের সম্পত্তিও দখলের চক্রান্ত শুরু করে। একই সাথে ভাড়াটিয়া বাহিনীর সহযোগিতায় আমাকে হয়রানির ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এঘটনায় আমি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা করলে আদালতে উক্ত সম্পত্তিতে ১৪৫ ধারা জারি করেন। কিন্তু পরসম্পদ লোভী আনসার মল্লিক আদালতের নির্দেশ অমান্য করে উক্ত সম্পত্তি দখল করতে না পেরে গত ৩১ জানুয়ারি আদালতে একটি মিথ্যে ঘর জ¦ালানোর মামলা দায়ের করে। তদন্তে ওই ঘটনা মিথ্যে প্রমানিত হয়। অমেদ আলী গাইন আরো বলেন, গত ৭ এপ্রিল গভীর রাথে বনবিভাগের লোকজন আনছার মল্লিকের বাড়ির মধ্যে থেকে হরিণের চামড়া উদ্ধার করেন। কিন্তু এঘটনায় সে আমাদেরকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র শুরু করে। এর জেরে গত ৯ এপ্রিল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই চোরা শিকারী মামলাবাজ আনছার মল্লিক দাবি করেন, তার বাড়িতে নাকি আমরা হরিনের চামড়া দিয়ে তাকে হয়রানির চেষ্টা করছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। আমি একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী অসহায় নিরিহ প্রকৃতির মানুষ। শুধুমাত্র জমি দখলের উদ্দেশ্যে সে আমাদেও বিরুদ্ধে একের পর এক এধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আনছার তার ভাই মুনসুর মল্লিক, শামসুর মল্লিক দীর্ঘদিন ধরে হরিনের মাংস ক্রয় বিক্রির সাথে জড়িত। যা এলাকাবাসী সকলেই অবগত আছেন। আমরা এলাকার নিরিহ শান্তি প্রিয় মানুষ। আমাদের পক্ষে চাঁদা দাবি করা বা অন্যের বাড়িতে হরিনের চামড়া রেখে ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ কাল্পনিক। উল্টো আনছার মল্লিক ও তার তিন ভাই এবং সহযোগি শফিকুল মল্লিক, আজিবর মল্লিক, সাইদুল মল্লিক ও আব্দুর রশিদ আমাদের বাড়িতে হরিণ বা বাঘের চামড়া রেখে ধরিয়ে দিয়ে হয়রানি করবে, বাড়ির স্ত্রী-মেয়োদের দিয়ে মিথ্যে ধর্ষন মামলা করে হয়রানির হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তিনি চোরা শিকারী আনসার মল্লিকের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে ও নিজের সম্পত্তি রক্ষা এবং মিথ্যে মামলায় দায় হতে অব্যাহতির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)। 8,645,128 total views, 1,480 views today |
|
|
|