Site icon suprovatsatkhira.com

গ্রাম আদালত সম্পর্কে অংশগ্রহণ মূলক সমন্বিত পরিকল্পনা সভা

ডেস্ক রিপোর্ট : সাতক্ষীরায় গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহের অংশগ্রহণ মূলক সমন্বিত পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রæয়ারি) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) মো. তানজিল্লুর রহমান। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল। পরিকল্পনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. নূরুল ইসলাম, ডিএসবি সাতক্ষীরার ডিআইও-২ ইন্সপেক্টর রেজাউল ইসলাম, কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার রবিউল ইসলাম, রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন, গ্রাম আদালতের সুবিধাভোগী ভুরুলিয়া গ্রামের আয়রুন নেছা প্রমুখ। পরিকল্পনা সভায় জানানো হয়, যে কোন ধরনের বিবাদ মীমাংসার জন্য আদালতে না গিয়ে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে অনেক বিবাদ মীমাংসা করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে সাতক্ষীরার জেলার ৪টি উপজেলার মোট ৪৭টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিচালনা করেন যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে অনেকেই উপকার-ভোগী হয়েছেন। সভায় বক্তারা বলেন, গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ অনুযায়ী ছোট খাটো ফৌজদারি ও দেওয়ানি বিরোধ স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত গঠিত হয়। এখানে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যমানের ফৌজদারি ও দেওয়ানি বিরোধী নিষ্পত্তি করতে পারে। গ্রাম আদালতে অল্প খরচে, স্বল্প সময়ে এবং অতি সহজে বিরোধ ও বিবাদ নিষ্পত্তির সুযোগ রয়েছে। প্রতিনিধি মনোনয়নে আবেদনকারী ও প্রতিবাদী সমান সুযোগ পায়। পক্ষগণ নিজের কথা নিজে বলতে পারে, আইনজীবীর দরকার হয় না। গ্রাম আদালতে সমঝোতার ভিত্তিতে বিরোধী নিষ্পত্তি হয়। এক বিরোধ থেকে অন্য বিরোধ সৃষ্টির সম্ভাবনা কম থাকে। বিশেষ গ্রাম আদালতে দ্রæত এবং সঠিক বিচার করা সম্ভব হয়। যে কারণে গ্রাম আদালত মামলা নিষ্পত্তিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version