ডিসেম্বর ৭, ২০২০
গাবুরায় গাছে গাছে পেরেক ঠুকে ঝোলানো হয়েছে ব্যানার ফেস্টুন
হুদা মালী, গাবুরা (শ্যামনগর) প্রতিনিধি : গাছ মানুষের পরম বন্ধু। গাছ যেমন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, তেমনি আর্থিকভাবেও উপকার করে। গাবুরায় গাছের সঙ্গে পেরেক ঠুকে ব্যানার ফেস্টুন ঝুলোনোকে গাছের সাথে নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে গাছকে হত্যা করার প্রতিযোগিতা চলছে যেন নির্বাচনের ফেস্টুন সাইনবোর্ডে। ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গাবুরা ইউনিয়নে সড়ক-মহা-সড়কের পাশের সরকারি গাছে গাছে ঝুলছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের প্রচার-প্রচারণার অসংখ্য সাইনবোর্ড-ব্যানার-ফেস্টুন ও বিজ্ঞাপন। এসব ব্যানার, ফেস্টুন, বিজ্ঞাপন ঝোলানো হয়েছে পেরেক ঠুকে। ইউনিয়নের বাসিন্দা আইয়ুব আনছারী জানান, ‘পোস্টার, ব্যানার ও বিজ্ঞাপনে এমনভাবে ছেয়ে গেছে গাছ, তা আর চেনার উপায় নেই। এটা খুবই বিপজ্জনক একটি ব্যাপার। পেরেক লাগানোর কারণে গাছের গায়ে যে ছিদ্র হয়, তা দিয়ে পানি ও এর সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও অণুজীব গাছের শরীরে প্রবেশ করে। এতে গাছের ওই জায়গায় দ্রæত পচন ধরে। ফলে তার খাদ্য ও পানি শোষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এতে গাছ মারাও যেতে পারে। তাই কোনো গাছে পেরেক ঠোকা মানে ওই গাছের চরম ক্ষতি করা। যেখানে আমাদের বেশি করে গাছ লাগানো এবং গাছের পরিচর্যা করা প্রয়োজন, সেখানে উল্টো গাছের ক্ষতি করে চলেছি’। স্থানীয় সচেতন মহলের ব্যক্তিবর্গ জানান, ‘এভাবে রাজনৈতিক দলের প্রচারণা বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য গাছ ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। একান্ত প্রয়োজন দেখা দিলে গাছের গায়ে তার বা রশি দিয়ে তা বেঁধে ব্যানার, ফেস্টুন লাগানো যেতে পারে। কোনোভাবেই পেরেক ঠোকা চলবে না। গাছে পেরেক ঠুকে সাইনবোর্ড না লাগানোর বিষয়ে ২০০২ সালের ৭ জুলাই জাতীয় সংসদে একটি আইন পাস হয়। কিন্তু শুধু কাগজপত্রেই আইনটি আছে। বাস্তবে এর কোনো প্রয়োগ নেই। এই আইনটি সম্পর্কে সবাইকে জানাতে হবে এবং এর প্রয়োগ ঘটাতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে’। 8,328,093 total views, 990 views today |
|
|
|