Site icon suprovatsatkhira.com

মাদার নদীর ১০ একর চর দখলের কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ হলেও উচ্ছেদ নিয়ে শঙ্কায় এলাকাবাসী

জি এম মাছুম বিল্লাহ, মুন্সিগঞ্জ (শ্যামনগর) প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের উত্তর রমজাননগরে মাদার নদীর চর ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বেড়ি-বাঁধ দিয়ে ১০ একর জমি দখলের কাজ সমাপ্ত করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। প্রশাসন জানার পরও রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছেন। গত ১ ডিসেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটানা ৭ দিন উত্তর রমজাননগরে মাদার নদীর চর ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বেড়ি-বাঁধ দিয়ে ১০ একর সরকারি জমি দখলের কাজ করলেও নজরে আসেনি প্রশাসনের। কৈখালী ভূমি কর্মকর্তাকে ও উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে অবগত করলে কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু উচ্ছেদ করার কোন পরিকল্পনা তাদের মধ্যে দেখা যায়নি। রমজাননগর মৌজার ১০০, ১০১ দাগের ১ নং খতিয়ানে ১০ একর জমি ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বেড়ি-বাঁধ দিয়ে অবৈধ ভাবে দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করেন রমজাননগরের উত্তরপাড়া গ্রামের লুৎফার গাজীর পুত্র মোস্তফা (বাবলু) গাজী, ইব্রাহিম গাজীর পুত্র নজরুল গাজী, মজিবার গাজী, মৃত মান্নান গাজীর পুত্র ইদ্রিস গাজী, মৃত আব্দুল গাফুর গাজীর পুত্র ইসমাইল গাজী, মৃত মোহাম্মদ আলী গাজীর পুত্র এশার আলী গাজী, শহর আলী গাইনের পুত্র আক্তার আলী গাইন, রহমাত আলী গাইন, দাউদ আলী গাইন, মৃত আঃ হান্নান গাজীর স্ত্রী আছিয়া বেগম, শাহাবুদ্দিন গাজীর পুত্র জুল ঢালী এবং ভৈরবনগর গ্রামের সুধীর মন্ডলের পুত্র কেনা মন্ডল, মৃত ফেরাসতুল্ল্যাহ গাজীর পুত্র নুরুল ইসলাম, মেসের আলী গাজীর পুত্র আমজাত অবৈধ ভাবে মাদার নদীর চর দখল করে মৎস্যঘেরীর উপযোগী করে তুলেছে।বিষয়টি নিয়ে দখলকারীরা জানান যে, পূর্বে তাদের সামান্য পরিমাণ খাস জমি ডিসিআর ছিল তারই ইস্যু ধরে নতুন করে নদীর চরে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বেড়ি-বাঁধ সৃষ্টি করে মৎস্যঘেরীর প্রস্তুতির উপযোগী করে তুলছেন। এটা যে অবৈধ তাও স্বীকার করেছেন তারা। কৈখালী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সুধীন কুমার বলেন, ‘বিষয়টি শুনার পর অফিসের ছোট নায়েবকে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে যদি অবৈধ হয়ে থাকে তবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’। শ্যামনগর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদিকী বলেন, ‘উত্তর রমজাননগর মাদার নদীর চর দখলের বিষয়টি শোনার পর আমি স্থানীয় নায়েব সাহেবকে বলে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। তদন্তপূর্বক অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’। তবে সচেতন মহল জানিয়েছেন, নদীর চর ভরাট করার ফলে বিভিন্ন রকমের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ। জরুরী ভাবে উপজেলার সকল নদনদীর চর থেকে ভূমি-দস্যুদের বিতাড়িত করে নদীর গভীরতা এবং নদীর আয়তন বজায় রাখার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version