Site icon suprovatsatkhira.com

ডলার ও বিটকয়েন ব্যবসায়ীর সালিশ করে বিপাকে জনপ্রতিনিধি সহ আ’লীগের নেতারা

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধূলিহর ইউনিয়নের এক ডলার ও বিটকয়েন ব্যবসায়ীর পরিবারের সালিশ করে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিসহ আওয়ামী লীগের নেতারা। সালিশের মাধ্যমে উক্ত ডলার ও বিটকয়েন ব্যবসায়ী পরিবার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে নেওয়া অর্থ আত্মসাৎ করে ছিল সে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলতেই জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে পরিবারটি। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খুলনার মাদার বাড়ি এলাকার জনৈক আজিজুর ইসলামের সাথে মাছ ক্রয় বিক্রয়কে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুগি পোতা গ্রামের আলাউদ্দীনের ছেলে হেপির বন্ধু সুলভ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের জের টাকা ধার নেওয়ার নাম করে হেপিকে জামিন করে পার্শ্ববর্তী বাগডাঙ্গী এলাকার মৃত আইজদ্দীনের ছেলে আনারুল ইসলামের কাছে ডলার ও বিটকয়েনর বিনিময়ে হেপির অগোচরে ২১ হাজার টাকা গ্রহণ করে আজিজুর ইসলাম। এরপর থেকে আজিজুর ইসলাম, ডলার ও বিটকয়েন ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম, তার ছেলে ইসমাইল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে একত্রে ডলার ও বিটকয়েনের ব্যবসা করে আসছিল। এক পর্যায়ে উভয়ের ভিতরে মনোমালিন্য সৃষ্টি হওয়ায় আজিজুর ইসলাম ব্যবসায়িক সম্পর্ক বিচ্ছেদ করে তার গ্রামের বাড়িতে চলে যান। তবে আজিজুর ইসলাম চলে যাওয়ায় স্থানীয় ধূলিহর ইউনিয়ন পরিষদে আজিজুরসহ স্থানীয় হেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে আনারুল ইসলাম দাবি করেন হেপির উপস্থিতিতে আজিজুর রহমান যে টাকা ধার নিয়েছিল সেটি পরিশোধ না করেই পালিয়ে গেছে সে। একারণে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে হেপির কাছ থেকে ১৪ হাজার টাকা নিয়ে আনারুলকে দেওয়া হয় এবং আজিজুরকে সালিশে হাজির করানোর দায়িত্ব নিলে হেপির টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এর একদিন পরেই হেপি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে পরবর্তী সালিশে আজিজুরকে হাজির করবেন বলে জানিয়ে নিজের টাকা ফেরত চান। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাসহ আওয়ামী লীগের নেতারা আনারুল ইসলামকে হেপির থেকে নেওয়া অর্থ ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানান এবং পরবর্তী সালিশে যদি আজিজুর উপস্থিত না হয় তাহলে সমস্ত টাকা হেপি পরিশোধ করবেন বলে জানানো হয়। তবে আনারুল ইসলাম স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ আওয়ামী লীগ নেতাদের কথায় কর্ণপাত না করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বাবু সানা, বড়দল এলাকার শওকত আলী, তার ছেলে বাবু, একই এলাকার কুলু হাজীর ছেলে জয়নাল, আফছারের ছেলে আবুল হোসেন সহ আরো অনেকের নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালাতে থাকে। এবিষয়ে ধূলিহর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু সানা বলেন, আনারুল ইসলাম তার ডলার ও বিটকয়েন ব্যবসার কথা গোপন করে তার ব্যবসায়িক পার্টনার আজিজুর রহমান ও হেপির বিরুদ্ধে তার থেকে ধার করে নেওয়া টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেন। এসময় গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে হেপির কাছ থেকে ১৪ হাজার টাকা নিয়ে আনারুলকে দেওয়া হয় এবং আজিজুরকে সালিশে হাজির করানোর দায়িত্ব নিলে হেপির টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। তবে হেপি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে পরবর্তী সালিশে আজিজুরকে হাজির করবেন বলে জানিয়ে নিজের টাকা ফেরত চান এবং আজিজুর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করে জানান আনারুল তার কাছে কোন প্রকার টাকা পাবে না। একারণে পরবর্তী সালিশে আজিজুর উপস্থিত থাকবেন বলে জানান। এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে আলাপচারিতার মাধ্যমে আনারুলকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। এবং পরবর্তী সালিশে আজিজুরের উপস্থিতে আনারুলের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে তার থেকে নেওয়া সমস্ত টাকা আজিজুর পরিশোধ করবেন বলে জানানো হয়। অথচ আনারুল সেটি না করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাসহ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি। এ সময় প্রকৃত সত্য ঘটনা তদন্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার প্রতি আহŸান করেন তিনি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version