Site icon suprovatsatkhira.com

খলিষখালীর তেয়াশিয়া নদীর অবৈধ নেট-পাটা অপসারণ

খলিষখালী (পাটকেলঘাটা) প্রতিনিধি : পাটকেলঘাটার খলিষখালীতে খাল-বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে তেয়াশিয়া নদীতে সকল অবৈধ নেট-পাটা অপসারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে খলিষখালী ইউনিয়নের গাছা জনেকের বাড়ির ব্রিজ থেকে নদীতে অবৈধ নেট-পাটা অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়। খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর রহমান ও সরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে নেট-পাটা অপসারণ কাজে অংশ নেন, খলিষখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পঙ্কজ রায়, ওসমান গনি, গনেশ বর্মন, সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নাজিমউদ্দীন, আব্দুল হামিদ, আওয়ামী লীগ নেতা দিলীপ মন্ডল, অনিমেশ মন্ডল, মফিদুল ইসলাম, মোন্তাজ মোড়ল, আব্দুল গনি মাস্টারসহ স্থানীয় সাধারণ জনগণ। নেট-পাটা অপসারণের পাশাপাশি পরিষ্কার করা হচ্ছে খালের শেওলা। এর ফলে খালের পানির স্রোত বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘদিন এ নেট পাটা অপসারণ না করার কারণে কৃষকরা বোরে ধানের বীজতলা তৈরি করতে পারছিল না। কিন্তু আজ দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নেট পাটা অপসারণ করায় অনেক খুশি কৃষকরা। এ ব্যাপারে রাঘবকাটী গ্রামের কৃষক আব্দুস সোবহান গাজী বলেন, আমরা কৃষকরা বোরে ধান চাষাবাদ নিয়ে বেশ চিন্তাই ছিলাম। কারণ প্রায় সব জায়গায় কৃষকরা বোরো চাষাবাদের জন্য বীজতলা তৈরি করে ফেলেছে। আমরা এখনও বীজতলা তৈরি করতে পারছিলাম না জলাবদ্ধতার কারণে। এখন নেট-পাটা অপসারণের কারণে খুব দ্রæত বীজতলা তৈরি করতে পারব। টিকারামপুর গ্রামের কৃষক সোহরাব হোসেন বলেন, তেয়াশীয়া খালটি দিয়ে অনেকদিন পানি ঠিকভাবে সরবরাহ করতে পারে না নেট-পাটার জন্য। যার কারণে এলাকার কৃষকরা বোরোধানের বীজতলা নিয়ে সংশয় ছিল। এখন নেট পাটা অপসারণের ফলে আমরা বোরো ধানের বীজতলা দ্রæত তৈরি করতে পারব। এ ব্যাপারে খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোজাফ্ফর রহমান জানান, তেয়াশিয়া নদী দিয়ে সরুলিয়া ও খলিষখালী ইউনিয়নের বিলের পানি নিষ্কাশন হয়। তেয়াশিয়া নদীর পানি শালিখা গেট দিয়ে কপোতাক্ষ নদে পড়ে। কিন্তু সম্প্রতি জালালপুর ইউনিয়নের টিআরএম প্রকল্পের ভেড়ী বাধ ভেঙে যাওয়ায় ফলে তেয়াশিয়া নদীতে অতিরিক্ত পানির চাপ বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে তেয়াশিয়া নদীতে অবৈধভাবে নেট-পাটা দিয়ে মাছ ধরার কারণে সেখানে শেওলা জমে পানির প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে পাটকেলঘাটার দক্ষিণ বিলের ও অসংখ্য মৎস্য ঘেরের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় আসন্ন বোরো মৌসুমের জন্য বীজতলা প্রস্তুতসহ বোরো আবাদ অনিশ্চিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। একারণে ২ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও এলাকার সাধারণ জনগণের নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে তেয়াশিয়া নদীর সকল অবৈধ নেট-পাটা অপসারণ কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রথমদিনে গাছা জনেকের বাড়ির ব্রিজ থেকে দলুয়া ব্রিজ পর্যন্ত তেয়াশিয়া নদীতে সকল ধরনের অবৈধ নেট-পাটা অপসারণ করা হয়। এর ফলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা দ্রæত হবে । একই সাথে নদীর শেওলাও অপসারণের কাজ চলছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version