Site icon suprovatsatkhira.com

ঝাউডাঙ্গায় কুমড়ার বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে নারীরা

স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গায় কুমড়ার বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে নারীরা। শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা মেলে কুমড়ার বডি তৈরির দৃশ্য। কুমড়ার বড়ি তরকারী হিসাবে বেশ জনপ্রিয় খাবার। শীতের শুরু থেকেই খাদ্য তালিকায় থাকে কুমড়ার বড়ি। এটি তৈরির কারিকুলামেও রয়েছে মুন্সিয়ানা। কুমড়ার সাথে কলাইয়ের ডাল পিসে কাপড় অথবা বিশেষ নেটে ছোট ছোট বড়ি বানিয়ে রৌদ্রে শুকালেই খাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠে। এতে খাবারের তালিকায় আসে পরিবর্তন। এর বিশেষ মহাত্ব হচ্ছে, এটি একবার তৈরি করে সারা বছর খাওয়া যায়। বাড়ির ছাদে, উঠানে কিংবা বিলের ধারে যার যেখানে সুবিধা সেখানেই রৌদ্রে শুকাতে দেওয়া হয় এসব কুমড়ার বড়ি। তবে কুমড়ার বড়ি তৈরির জন্য আগে থেকেই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা করেন গ্রাম বাংলার গৃহিণীরা। এজন্য বর্ষার মৌসুমে গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি পরিবারই কুমড়োর গাছ রোপণ করে। বিশেষ করে বাড়ির গোয়ালঘর, থাকার ঘর, রান্না ঘরের ছাদে বা চাল জুড়েই দেখা মিলে কুমড়া গাছের লতা-পাতা। কোন প্রকার সার ছাড়াই বেড়ে ওঠে এ গাছ। প্রথম পর্যায়ে কাঁচা কুমড়া তরকারী হিসাবে খাওয়া হয়, বাকি গুলো রেখে দেওয়া হয় বড়ি তৈরি জন্য। পাকা কুমড়ার সঙ্গে কলাইয়ের ডাল ঢেঁকিতে বা মেশিনে মিশিয়ে মন্ডাকার বানানো হয়। পরে নেট, টিন, চালনি বা পরিষ্কার কাপড়ে মন্ডা থেকে ছোট ছোট বড়ি বানিয়ে রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। শুকানোরপর এটিকে তরকারী হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এক কেজি কলাইয়ের ডালের সঙ্গে তিনটি কুমড়া পিষে বড়ি বানালেই খাওয়া যায় সারা বছর এমনটাই জানিয়েছেন বেশিরভাগ গৃহিণীরা।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version