ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
জেলা জজের দেওয়া কার্পেট পেয়ে হাসি ফুটেছে এতিম খানার শিক্ষার্থীদের
ডেস্ক রিপোর্ট : শ্যামনগরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাওলানা মুনসুর আহমেদ রহমানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা লিল্লাহ বোর্ডিং ও এতিম খানার শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড শীতে কষ্ট পাচ্ছিলেন। ঠান্ডার মধ্যে মাটিতে বসে পড়াশোনা করাটা অসাধ্য হয়ে উঠেছিল। তাদের কষ্ট লাঘবে ভূমিকা রাখেন সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা জজ শেখ মফিজুর রহমান। তাদের কষ্টের বিষয়টি পদ্মপুকুর ইউনিয়ন প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা জজকে অবগত করালে তিনি ব্যক্তিগতভাবে কচিকাঁচা এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য কার্পেটের ব্যবস্থা করেন। কার্পেট পেয়ে হাসি ফুটেছে মাদ্রাসা এতিম শিক্ষার্থীদের মুখে। জেলা জজ কর্তৃক প্রদত্ত অর্থে কার্পেট ক্রয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষসহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত আনন্দিত ও উচ্ছ¡াসিত হয়েছে। সাথে সাথে জেলা জজ শেখ মফিজুর রহমানের জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করেছেন। মাওলানা মুনসুর আহমেদ রহমানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা লিল্লাহ বোর্ডিং ও এতিম খানার মুহতামিম হাফেজ মাও: আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানটি নতুন এবং একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত। ফলে এখানে বড় ধরনের দাতা সংকট রয়েছে। অনেকেই সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু প্রচন্ড শীতের মধ্যে মাটিতে শিক্ষার্থীরা কষ্ট পাচ্ছিলেন। ঠিক সে সময় আমাদের ছোট ভাই মানবিক হাবিবুর রহমানের মাধ্যমে সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা জজ মহোদয় কার্পেটের ব্যবস্থা করেন। ইতোপূর্বে তিনি এখানে ৪০টি কম্বলের ব্যবস্থাও করেছিলেন। এটা পেয়ে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী অত্যন্ত খুশি। আমরা প্রত্যেকই জজ মহোদয়ের সু-স্বাস্থ্য কামনায় দোয়া করছি। পদ্মপুকুর ইউনিয়ন প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমি একজন প্রতিবন্ধী। শিশুদের এ কষ্ট দেখে নিজে কিছু করতে না পারলেও মানবিক সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা জজ মহোদয়কে অবগতি করি। শিশুদের জন্য কার্পেটের ব্যবস্থা করেন। এতে শিশু শিক্ষার্থীরা উষ্ণতার পরশ পাবে। লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে পারবে। 8,646,237 total views, 2,589 views today |
|
|
|