Site icon suprovatsatkhira.com

চান্দুড়িয়া কেসিজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটরে অযোগ্য প্রার্থী নিয়োগের পাঁয়তারা

কলারোয়া প্রতিনিধি : কলারোয়ার চান্দুড়িয়া কেসিজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর নিয়োগে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) সকালে এমন অভিযোগ করেন কাঁদপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, গত ১৩ নভেম্বর ওই বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর নিয়োগের জন্য একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ওই বিজ্ঞপ্তিটি জনবহুল পত্রিকায় প্রকাশ করার কথা থাকলেও তিনি তা না করে দুটি গুপ্ত পত্রিকায় প্রকাশ করেন। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ায় বেশির ভাগ প্রার্থী জানতে পারেননি। ওই পদে প্রার্থীর নেয়ার জন্য যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে বলা হয় কেসিজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর আবশ্যক। পদের জন্য ৫শ’ টাকা পোস্টাল অর্ডার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫দিনের মধ্যে প্রধান শিক্ষক বরাবরে আবেদন পাঠাতে হবে। এই বিজ্ঞপ্তিতে কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ্য নেই। এমনকি ৫শ’ পোস্টাল অর্ডার ফেরত যোগ্য না অফেরত যোগ্যতাও উল্লেখ্য করা হয়নি। লোকমুখে জানতে পেরে চন্দনপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রাম থেকে রাকিব হোসেন, আশরাফ হোসেন, কাদপুর গ্রাম থেকে রোকনুজ্জামান, ও চুপড়িয়া গ্রাম থেকে আজমল হোসেন সবুজ ও মহিউদ্দীন নামে ৫ ব্যক্তি প্রার্থী হিসাবে আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার সকালে ওই ৫ প্রার্থীর সকল কাগজপত্র যাচাই করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্যরা। সেখানে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে শিক্ষাগত যোগ্যতা না চাওয়ায় অযোগ্য প্রার্থীরাই বেশির ভাগ আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ম্যানেজিং কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাসান আজিজ আহম্মেদের চাচাতো বোনের ছেলে আশরাফ হোসেনকে প্রাথমিক ভাবে তারা মনোনীত করেছে বলে প্রার্থী রোকনুজ্জামান অভিযোগ করেন। কিন্তু প্রার্থী আশরাফ হোসেনের আবেদন পত্রে বহু ভুল দেখা গেছে। ইংরেজি বানান কি তা জানেন না, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির স্থানে বিজ্ঞাপনের কথা লেখেন, তার কম্পিউটার সার্টিফিকেট এ লেখা আছে যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ একাডেমি, কিন্তু সেখানে সনদ পত্রও লেখা নেই। তাহলে এটা কি সনদপত্র, সার্টিফিকেট। এছাড়া তার আবেদন পত্রে লেখা রয়েছে-কারিগরি বোর্ড। এছাড়া অসংখ্য বানান ভুল রয়েছে তার আবেদন পত্রে। তাকে কীভাবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক ভাবে মনোনীত করেন। এদিকে চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, যোগ্য ও বিধি মোতাবেক ভাবে ওই বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর হিসাবে নিয়োগ পান তার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, তিনি সঠিক ভাবে এবং বিধি মোতাবেক কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর নেবেন এবং তার বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেবেন। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাসান আজিজ আহম্মেদের চাচাতো বোনের ছেলে আশরাফ হোসেনকে প্রাথমিক ভাবে তারা মনোনীত হয়েছে বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, যারা কথাটি বলেছেন তারা ঠিক বলেননি। আমার আত্মীয় হতে পারে কিন্তু আমি কোন অনিয়মের প্রশ্রয় দেই না। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাসান ইয়ার মোহাম্মাদের সেল ফোনে যোগাযোগ করতে না পারায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version