Site icon suprovatsatkhira.com

উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ড. মোজাম্মেল হকের দাফন সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনির কৃতি সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক (৭৫) এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১.৩০ টার দিকে মরহুমের গ্রামের বাড়ি কাদাকাটিতে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর তিনি ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। (ইন্নালিল্লাহি অইন্না ইলায়হি রাজেউন)। এদিন রাত ১১ টার দিকে তাঁর মরদেহ ঢাকা থেকে আশাশুনির কাদাকাটিতে আনা হয়। নামাজে জানাজা শেষে রাতেই তাকে দাফন করা হয়। নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন মাও. শিহাব উদ্দিন সবুজ। অধ্যাপক মোজাম্মেল হকের একমাত্র ছেলে মোস্তফা মেহের (টিটো), মেয়ে ইশমাত শাহীন (বীথি) ও স্ত্রী রাশিদা হকসহ বহু আত্মীয়-স্বজন, ছাত্র, গুণগ্রাহী উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, মরহুম ড. মোজাম্মেল হক কর্মজীবনে সাতক্ষীরা পিএন হাইস্কুল এবং খুলনা বিএল কলেজে শিক্ষকতা করেন। এরপর তিনি দীর্ঘকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে অধ্যাপনা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক মানের জার্নাল অফ বোটানি সম্পাদনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। অধ্যাপক হক সপরিবারে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় বাস করতেন। তিনি ছিলেন একজন প্রথিতযশা উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ও গবেষক। উদ্ভিদ প্রজনন বিদ্যা ও জীব প্রযুক্তি নিয়ে দেশ-বিদেশে তার অসংখ্য আন্তর্জাতিকমানের গবেষণা রয়েছে। অনেক গবেষণা পত্রিকার দক্ষ সম্পাদকও ছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদের একজন শক্তিশালী ধারক ও বাহক। তার মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন- উদ্ভিদবিজ্ঞান শিক্ষা প্রসারে ও গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। শোক বার্তায় উপাচার্য তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version