ডেস্ক রিপোর্ট ঃ শ্যামনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদে বর্তমান উপাধ্যক্ষ জামায়াত নেতা ও নাশকতা মামলার আসামী আমির হোসেনকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নিয়োগ দেয়ার অপতৎপরতা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।বিভিন্ন মিডিয়া ও শ্যামনগরের সর্বত্রে এ নিয়োগ নিয়ে চলছে আলাচনা ও সমালোচনা। পরিচালনা পর্ষদের আস্থাভাজন জামায়াত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলে উপজেলা যুবলীগ তা প্রতিহতের ঘোষনা দিয়েছে। আওয়ামীলীগ নেতাসহ শিক্ষাবিদদের দাবি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন সরকারে থাকা অবস্থায় কেউ অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেলে তা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। জানা গেছে শ্যামনগর উপজেলার আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়ার জন্য সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। ৩০ জুন ২০১৬ সালে জনাব আশেক-ই এলাহী অবসরে যাওয়ার পর থেকে উপজেলার নারী শিক্ষায় গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখা এ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদ শুন্য। অভিযোগ পরিচালনা পর্ষদের প্রিয়ভাজন হওয়াতে জামায়াত এর রাজনীতির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত বর্তমান উপাধ্যক্ষ আমির হোসেনকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে শৃঙ্খলা ও বিধি লংঘন করে উপাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের নির্দেশনা মেনে তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদ আমির হোসেন কে চাকুরীচ্যুত করে। তৎকালীন জামায়াত দলীয় সাংসদসহ জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল বারীর ঘনিষ্ট সহচর হিসেবে সর্বমহলে বিশেষ পরিচিতি। কাটুনিয়া রাজবাড়ী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল ওহাব অভিযোগ করেন, আমির হোসেন শুরু থেকে জামায়াত এর রাজনীতির সাথে যুক্ত। কৌশলী আমির হোসেন পদ-পদবী না নিলেও স্বাধীনতা বিরোধী ঐ সংগঠনের নীতি নির্ধারকদের একজন হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করতেন। এসময় বিষয়টি রীতিমত সমালোচনা সৃষ্টি করলেও পরিচালনা পর্ষদের শীর্ষ ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় সাবেক সাংসদ এ কে ফজলুল হকের সাথে সমঝোতার পর বিধিবহির্ভুত বিষয়টি ‘জায়েয’ হয়ে যায়। এছাড়া জামায়াত দলীয় সাবেক সাংসদ গাজী নজরুল ইসলামের হস্তক্ষেপে স্পষ্টত বিধির লংঘন ঘটিয়ে ২০০২ সাল থেকে পরিচালনা পর্ষদের সভায় তিনি নিয়মিত অংশ গ্রহন করতেন। আমির হোসেন জামায়াত এর প্রোডাক্ট -উল্লেখ করে নওয়াবেঁকী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জুলফিকার আল মেহেদী বলেন, সে জামায়াত এর রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। ২০০৩ সালের ২৪ অক্টোবর দৈনিক কাফেলা পত্রিকায় তাদের রাজনীতির প্রতি আস্থাশীল শিক্ষকদের সাথে জামায়াত ইসলামীর একটি সভা নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তিনি জামায়াতের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে অন্যতম অর্থ যোগানদাতা। প্রভাষক মোশারফ হোসেন বলেন, সম্প্রতি অধ্যক্ষ পদে একটি নিয়োগ বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে আমির হোসেনকে উক্ত পদে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে। অথচ এর আগে বৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া আ’লীগ নেতা আ ক ম মিজানুর রহমানকে নিয়োগ বঞ্চিত করা হয় শুধুমাত্র জামায়াত নেতা আমির হোসেনকে সুযোগ করে দেয়ার জন্য।শ্যামনগর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, আমির হোসেন দেশবিরোধী শক্তির প্রতিনিধি। তিনি অধ্যক্ষ হলে দেশবিরোধী চর্চা চলবে ঐ প্রতিষ্ঠানে। তাকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হলে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তার নিয়োগ প্রতিহত করা হবে। উপাধ্যক্ষ আমির হোসেন বলেন, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে জামায়াতের সমর্থক ছিলাম, তবে এখন জামায়াতকে আর সমর্থন করিনা, মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পরিচালনা পর্ষদকে ম্যানেজ করা বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমি আমার যোগ্যতা বলে এ পদের জন্য আবেদন করেছি।
শ্যামনগরে নাশকতা মামলার আসামীকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/