মীর খায়রুল আলম : ভাতশালা বাজার তৎ-সংলগ্ন মহাশ্মশান নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বছর বছর নদী ভাঙনে শ্মশানের জমি নদীতে মিশে যেতে শুরু করেছে। নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া না হলে একসময় মহাশ্মশান মন্দিরের পুরোটাই নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বিরাজ করছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ভাতশালা বাজার ও বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন অবস্থিত মহাশ্মশানটি নদী পাড়ে অবস্থিত হওয়ায় ধীরে ধীরে তা ধসে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া ঐ শ্মশান মন্দিরের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন লেগে থাকে। প্রতিবছর এসব ভাঙন রোধে সরকারের বহু টাকা ব্যায় হলেও স্থায়ী কোন সমাধান হয় না। যে কারণে নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার আতঙ্কে নিয়ে জীবন যাপন করেন সীমান্ত পাড়ের মানুষেরা। একদিকে সরকার নদী ভাঙন রোধে কোটি কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিচ্ছেন। অন্যদিকে অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার আশায় তাদের খেয়াল খুশি মত নদী থেকে বালু উত্তোলন করে সরকারের মহৎ উদ্যোগকে ¤øান করে চলেছে। সাম্প্রতিক এর ফলে ইছামতি নদীর বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে ফলজ-বনজ বৃক্ষের বাগান, ফসলি জমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শত শত ঘর-বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। ভাতশালা গ্রামের গোপাল বিশ্বাস জানান, তাদের শত বছরের ঐতিহ্য শ্মশান কালী মন্দিরে সন্ধ্যা আরতি, সাপ্তাহিক আরাধনা, বার্ষিক কালী পূজা, মৃত মানুষের সৎকার করা হয়। যুগ যুগ ধরে তাদের এই কর্মকান্ড চলে আসছে। এখানে ভাতশালা, রহিমপুর, ঘলঘলিয়া, রতেœশ্বরপুর, পাঁচপোতা সহ আশে পাশের এলাকার মানুষ পূজা দিতে এবং তাদের শেষ কার্য সম্পন্ন করতে আসেন এই শ্মশান মন্দিরে। কিন্তু নদী ভাঙনে তাদের এই কর্মকান্ড হুমকিতে ফেলেছে। দ্রæত স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তাদের ধর্মীয় এই প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা সম্ভব হবে না। ভাতশালা মহাশ্মশান কালী মন্দিরের সভাপতি রমেশ দত্ত জানান, তাদের পূর্ব পুরুষের সূত্র ধরে তারা এই স্থানটিতে ধর্মীয় কাজ সম্পন্ন করে আসছেন। পূর্বে প্রায় ২ বিঘা জমি নিয়ে মন্দিরটি গড়ে তোলা হলেও নদী গর্ভে বিলীন হয়ে বর্তমানে ১০শতকের মত জমিতে দাঁড়িয়ে আছে মন্দিরটি। তাই নদীর বাধ রক্ষায় আরসিসি বøক স্থাপন করে তাদের এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন তারা।
ভাতশালা মহাশ্মশান কালী মন্দির নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/