Site icon suprovatsatkhira.com

বাংলাদেশের সাথে জার্মানির খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক-সাতক্ষীরায় জার্মান রাষ্ট্রদূত

ডেস্ক রিপোর্ট : ‘বাংলাদেশের সাথে জার্মানির খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আগামীতে দুই দেশের এই সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে। সাতক্ষীরার পরিবেশ, মুক্ত বাতাস আর সবুজের মনোরম পরিবেশ খুব ভাল লেগেছে। ভৌগোলিক অবস্থানের দিক দিয়ে সাতক্ষীরার উপক‚লীয় এলাকা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের দুর্যোগপ্রবণ সকল এলাকার জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছি। বাংলাদেশ এখন আর গরিব দেশ নয়, এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। এর পরেও সরকার যদি জার্মানি সরকারের কাছে সহযোগিতা চায়, জার্মান সরকার বিষয়টি অবশ্য গুরুত্বের সাথে দেখবে’। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের কামালনগরে লেকভিউ রিসোর্স সেন্টারে স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফাহেরেনগোলটজ এসব কথা বলেন। তিনি জানান, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ৩০০ মিলিয়ন ইউরো প্রদান করেছে জার্মানি সরকার। এর বাইরে দুর্যোগপ্রবণ সাতক্ষীরার উপক‚লীয় এলাকায় বাড়তি সহায়তা হিসেবে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ৬ হাজার পরিবারের জন্য খাদ্য সহায়তা বরাদ্দ করা হয়েছে। আমাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষতিগস্ত মানুষের তালিকা প্রস্তুত করেছেন। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে আশাশুনি, শ্যামনগর ও দেবহাটা উপজেলায় ১ম পর্যায়ে ৩ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা সরবরাহ করা হয়েছে। শনিবার (১৪ নভেম্বর) ২য় পর্যায়ে আশাশুনিতে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার ২শ’ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ৫জন সদস্যের অনুপাতে মোট ৩০ হাজার মানুষের জন্য খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খুলনা বিভাগের উপক‚লীয় এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়ি-বাধ মজবুত করণের জন্য সবচেয়ে বড় একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলার চিংড়ি শিল্পের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘সাতক্ষীরা জেলার চিংড়ি শিল্প বিশ্ব জুড়ে বিখ্যাত। তবে চিংড়িতে অপ-দ্রব্য বা কেমিক্যাল ব্যবহারের ফলে চিংড়ির সুনাম অনেকটা নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে চিংড়িতে কেমিক্যাল ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন’। এছাড়া সাতক্ষীরায় তৈরি হস্তশিল্পের বাণিজ্যিক ব্যবহার ও হস্তশিল্পের পণ্যসমূহ রপ্তানিমুখর করার লক্ষ্যে কলারোয়ার শ্রীপতিপুর এলাকায় কয়েকটি ঘরোয়া হস্তশিল্পের কাজ পরিদর্শন করবেন বলে জানান তিনি। এ সময় জার্মান রাষ্ট্রদূতের সফর সঙ্গী হিসেবে বাংলাদেশ জার্মানি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি ভন মিতজলাফ উপস্থিত ছিলেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version