Site icon suprovatsatkhira.com

তালার লাউতাড়া গ্রামে বালাই নাশক ভেজাল ঔষধ তৈরির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি : তালার লাউতাড়া গ্রামে বহু অপকর্মের হোতা জাহাঙ্গীর হোসেনর বিরুদ্ধে এবার বালাই নাশক ভেজাল ঔষধ তৈরির অভিযোগ উঠেছে। জাহাঙ্গীর হোসেনের তৈরি ওই ঔষধ কেনার পর কৃষকরা কাক্সিক্ষত ফলাফল না পেয়ে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার পাজিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে প্রতারণার কারণে এলাকা থেকে উৎখাত হয়ে বিগত ৫/৬ বছর তালার লাউতাড়া গ্রামে বসবাস করছে। লাউতাড়া উত্তর বিলে নাম-সর্বস্ব একটি মৎস্য ঘের করে জাহাঙ্গীর ও তার আপন ভাই আলমগীর হোসেনকে নিয়ে জমজমাট প্রতারণার ব্যবসায় চালাচ্ছে। তাদের দু’ভাইয়ের অভিনব সব প্রতারণার শিকার হচ্ছে নিরীহ এবং সহজ-সরল মানুষ। এলাকার সরদার মশিয়ার, তালার মনিরুল মন্টু সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রতারক জাহাঙ্গীর হোসেন লাউতাড়া গ্রামে তার কথিত মাছের ঘেরের বাসায় ঘাস সহ ক্ষেতের অবাঞ্ছিত উদ্ভিদ নিধনে কৃষকদের প্রয়োগ করার বালাই নাশক ঔষধ তৈরি করছে। বাজার থেকে বালাই নাশক ঔষধ কিনে এনে সেই ঔষধের সাথে পানি সহ অন্যান্য রাসায়নিক মিশিয়ে ভেজাল ঔষধ তৈরি করে তা প্রতিষ্ঠিত ঔষধ কোম্পানির নামে বাজারজাত করছে। এলাকার বিভিন্ন সার ও কীটনাশকের দোকান থেকে কৃষকরা ওই ভেজাল ঔষধ কিনে প্রতারিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীর হোসেন ও তার ভাই আলমগীর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল ঔষধ তৈরির পাশাপাশি অভিনব ভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে কোটি টাকার মালামাল হাতিয়ে নিয়েছে। চুরি সহ বিভিন্ন শো-রুম থেকে টিভি, ফ্রিজ, বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সার, মাছের খাদ্য ও কীটনাশক সহ মূল্যবান মালামাল প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তার প্রতারণার শিকার হয়ে শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কোটি টাকা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অর্ধ-শত ভুক্তভোগী প্রতারণার মামলা করলেও কিছুদিন জেল-হাজত বাস করে আদালত থেকে জামিনে এসে সে বহাল তবিয়তে প্রতারণার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর হোসেন মুঠো ফোনে বলেন, আমি একটি কোম্পানির ঔষধ এনে আমার ঘেরের বাসায় রাখি এবং এখান থেকে বিক্রি করি। এছাড়া কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনও উত্তর দিতে না পেরে “দেখা করবেন” বলে জানিয়ে নিউজটা না করার অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হাজিরা খাতুন জানান, লাইসেন্স ছাড়া ঔষধ উৎপাদন করার সুযোগ নেই। তাছাড়া ভেজাল ঔষধ উৎপাদন করার বিষয়ে এই পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাইনি। তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার রফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি কমবেশি আমি শুনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version