Site icon suprovatsatkhira.com

জয়নগরে স্বাস্থ্য কর্মী রোকেয়ার দাপটে সেবা বঞ্চিত দুই মাসের শিশু

স্টাফ রিপোর্টার : কলারোয়া উপজেলার জয়নগরে দুই মাস বয়সী এক শিশুকে সরকারি টিকা থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে এক নারী স্বাস্থ্য-কর্মীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শিশুর মা জয়নগর গ্রামের আরিজুল সরদারের মেয়ে মারুফা খাতুন জানান, গত রবিবার (০৮ নভেম্বর) সকাল টায় জয়নগরের টিকাদান কেন্দ্র সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দীন সরদারের বাড়ির কেন্দ্রে আমার দুই মাসের শিশুকে টিকা দিতে নিয়ে যাই। কোন কারণ ছাড়াই ওই কেন্দ্রে কর্মরত (এফ ডবিøউ সি) স্বাস্থ্য-কর্মী রোকেয়া বেগম টিকা না দিয়ে দুর্ব্যবহার করে আমাকে ফিরিয়ে দেন। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বজলুর রহমানকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য-কর্মী রোকেয়া বেগমের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ওই স্বাস্থ্য-কর্মী ফোন রিসিভ না করে কেটে দেন। পরে (এফ ডবিøউ সি) সুপারভাইজার বিপ্লব হোসেনের মুঠো ফোনে বিষয়টি জানানো হলে তিনি টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে পুনরায় কেন্দ্রে যেতে বলেন। পরে কেন্দ্রে গেলে স্বাস্থ্য-কর্মী রোকেয়া বেগম অপেক্ষা করতে বলেন। এক পর্যায়ে সেদিনের মতো টিকাদেওয়া শেষ হয়ে গেছে বলে ফিরিয়ে দেন। অনেক অনুনয় বিনয় করার পর তিনি পার্শ্ববর্তী গাজনা গ্রামে নিয়ে টিকা দিয়ে আসার কথা বলে চলে যান।
তিনি আরও জানান, এরপর দ্বিতীয় টিকা দিবসে টিকা দিতে গেলে একই তাল-বাহানা করে। সেখানে উপস্থিত থাকা কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অডিটর মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে বিষয়টি তাৎক্ষণিক অবগত করা হয়। তিনি শিশুটিকে টিকা দেওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে বারবার বললেও স্বাস্থ্য-কর্মী রোকেয়া বেগম শিশুটিকে টিকা না দিয়ে ফিরিয়ে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য-কর্মী রোকেয়া বেগম জানান, ‘শিশুটির মা মারুফার সাথে তার স্বামীর ঝড়া বিবাদ চলছে। একারনে মারুফার স্বামী (শিশুর বাবা) আমাকে চাপ সৃষ্টি করে বলেছে আমার সন্তানকে আমার অনুমতি ছাড়া টিকা দিতে পারেন না’। তাই তাকে টিকা দেয়া হয়নি।
এদিকে সরেজমিনে এলাকাবাসি জানায়, স্বাস্থ্য-কর্মী রোকেয়া সরকারি দায়িত্ব পালন না করে তার স্বামী মিজানুর রহমানকে দিয়ে সব কাজ করিয়ে থাকেন। ফলে এলাকার কোন নারী জন্মবিরতীকরণ পিল গ্রহন করে না। তিনি ওই বেঁচে যাওয়া ওইসব পিল বাজারে বিক্র করে দেন। এছাড়া রোকেয়া টিকা কেন্দ্রে সঠিক সময়ে না যেয়ে তার স্বামীকে পাঠিয়ে থাকেন। তার স্বামী মিজানুর রহমান কারনে অকারনে স্বাস্থ সেবা গ্রহণকারীদের সাথে খারাপ আচরন করে থাকেন।
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার প্রধান সহকারী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘স্যার ছুটিতে আছেন। তিনি আসলে জানানো হবে। এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাÐের জন্য তদন্ত করে যদি প্রমাণিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version