Site icon suprovatsatkhira.com

জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্রকরে ধূলিহরে ৬টি দোকান ভিটা দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধূলিহর ইউনিয়নে জমিজায়গা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্রকরে শফিকুল ইসলাম নামে এক আওয়ামীলীগ নেতার দোকানঘরের তালা ভাংচুর করে নগদ টাকাসহ বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র লুটপাট করে দোকান-ভিটা দখল করার অভিযোগ উঠেছে নাশকতা মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে। সোমবার ভোর রাতে ইউনিয়নের কোমরপুর এলাকায় এ লুটপাট ও দোকানঘর দখলের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে বলে জানান ভূক্তভোগী পরিবার।

এসময় ভূক্তভোগী পরিবারসহ স্থানীয়রা জানান, কোমরপুর এলাকার মৃত. আব্দুল গফফার সরদারের ছেলে শফিকুল ইসলাম ক্রয়সূত্রে ২০১৭সালে কোমরপুর মৌজার এস,এ ২১৬ নম্বর খতিয়ানের ৩৩৮ নম্বর দাগে ৬টি দোকানঘর নির্মাণ করে। তবে শফিকুল ইসলামের নির্মিত দোকানঘরের জমিকে নিজেদের জমি বলে দাবি করতে থাকে একই এলাকার মৃত. আমিনুদ্দীন সরদারের ছেলে ও নাশকতা মামলার আসামী আব্দুল মতিন। আর এই জমিসংক্রান্ত বিষয়কে নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যেকার দীর্ঘদিনধরে মনোমালিন্য চলে আসছিলো।

ঘটনার একপর্যায়ে সোমবার ৩০শে (নভেম্বর) ভোরবেলা আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে তার সহদর ভাই আব্দুল হাকিম, আব্দুল ছামাদ, আব্দুল মালেকসহ অজ্ঞাত ১০/১২জন ব্যক্তি মারাত্বক অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শফিকুল ইসলামের নির্মিত গফফার মার্কেটের ৬টি দোকানঘরের তালা ভেঙ্গে দোকানঘর হতে টেলিভিশন, গ্যাস সিলিন্ডার, শাড়ী, কাপড়, লুঙ্গীসহ বিভিন্ন প্রকারের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে দোকানঘরে একাধিক নতুন তালা ঝুলিয়ে দেয় আব্দুল মতিনসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এসময় শফিকুল ইসলাম তাদেরকে বাধাঁ দিলে শফিকুল ইসলামের উপরে অতর্কিত হামলা করে তারা।

এ বিষয়ে ভূক্তভোগী শফিকুল ইসলাম বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্রকরে চরম অনিশ্চয়তার মাঝে দিন পার করছে সে সহ তার পরিবার। কোর্ট রায়, স্থানীয় সালিশীনামা তাদের পক্ষে থাকলেও মতিনরা সেটি মানতে নারাজ। তারা ক্ষমতা বলে আমার নির্মিত দোকানঘরের বিভিন্ন প্রকারের পণ্যসহ নগদ অর্থ লুটপাট করে নিয়ে আমার দোকানঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া বিগত সময়েও তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা করেছে। আর এসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ-ডায়েরী (জিডি নং: ৬১৮) করলে তিনি কোন সুবিচার পাননি বলে দাবী করেন।

এসময় তিনি বলেন, তবে মতিন স্থানীয় প্রভাবশালীর লোক হওয়ায় তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না কেউ। এজন্য নিজের দোকান ভিটা ফেরতসহ সু-বিচার পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। এবিষয়ে অভিযোগটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই শিমুল হোসেন বলেন, এসংক্রান্ত বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version