স্টাফ রিপোর্টার : কলারোয়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পানিফল। চলতি মৌসুমে উপজেলার ৩৭ হেক্টর জমিতে পানি ফলের চাষ হয়েছে। পানি ফলের বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে। স্থানীয়দের কাছে এই ফল ‘পানি সিংড়া’ নামেও পরিচিত। পানি ফল বেশ পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। কলারোয়া পৌর সদরের গোপিনাথপুর গ্রামের পানিফল চাষি আব্দুল আজিজ গাজী জানান, ‘২০০৮ সালে কালিগঞ্জ উপজেলার আজিবার নামের এক কৃষকের থেকে বীজ এনে এই ফলের চাষ শুরু করি। সেই থেকে প্রায় ১২ বছর ধরে কলারোয়ার পতিত ও জলাবদ্ধ জমিতে বাণিজ্যিকভাবে পানি ফল চাষ শুরু করেছি। কম খরচে অধিক লাভ ও পতিত জমি ব্যবহারের সুযোগ থাকায় এখন কলারোয়া উপজেলায় ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পানি ফলের চাষাবাদ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার গোপিনাথপুর, তেলকাড়া, গোয়ালচাতর, কুশোডাঙ্গা, মুরারিকাটি ও কেড়াগাছি এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পানিফল। বাংলা সনের ভাদ্র থেকে আশ্বিন মাস পযন্ত চাষিরা পানিফলের চাষাবাদ করে। আর বেচা-কেনা চলে কার্তিক, অগ্রহায়ণ থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত। বর্তমানে কলারোয়া উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায়ও কলারোয়ায় উৎপাদিত পানিফল সরবরাহ করা হচ্ছে। স্থানীয় পানিফল চাষি আব্বাস, লাভলু, তাহিদুর রহমান, ওসমান গনিসহ কয়েকজন চাষি জানান, জলাবদ্ধ জমিতে পানিফলের চাষাবাদ করা হয়। প্রতি বিঘা জমিতে পানিফল আবাদে ১২-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়, আর ফল বিক্রি হয় প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকার। পানিফল চাষাবাদ বেশ লাভজনক। এছাড়া প্রতি কেজি পানিফল ২০-২৫ টাকা দরে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বিক্রয় হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। দেশের অন্যান্য জেলায় পানিফলের চাষাবাদ হয় না। তাই মানুষ ফলটি কম চেনে। এ ব্যাপারে কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মৌসুমী ফল হলেও পানিফলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এতে অনেক পতিত জমির ব্যবহার যেমন নিশ্চিত হচ্ছে, তেমনি বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের কারণে কর্মসংস্থানও বাড়ছে’।
কলারোয়ায় পানি ফলের বাম্পার ফলন
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/