Site icon suprovatsatkhira.com

উপকূলে বেড়ি-বাঁধ ভাঙনের ক্ষত না শুকাতেই আবারও অবৈধ নাইন্টি স্থাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার উপক‚লে ওয়াপদা বেড়ি-বাঁধ ভাঙনের ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই আবারও অবৈধ নাইন্টি স্থাপন উৎসবে মেতে উঠেছে চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ীরা। সোমবার (২৩ নভেম্বর) এমন চিত্র দেখা গেছে উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দূর্গাবাটি ওযাপদা বেড়ি-বাঁধের সন্নিকটে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই কয়েক কি. মি. নদীর চর কেটে খাল তৈরি করে ওয়াপদা বেড়ি-বাঁধের মাটি কেটে পাইপ বসিয়ে পানি তোলার ব্যবস্থা করে মৎস্য চিংড়ি ঘেরের মহা-পরিকল্পনা করেছে ঘের ব্যবসায়ী মো. কাশেম গাজী। নাইন্টি বসানোর মত অনৈতিক কর্মকান্ডের কথা ভেবে সাংবাদিক উপস্থিত হওয়ার আগে থেকেই সটকে পড়েন উক্ত ২৪ বিঘা জমির ঘের মালিক কাশেম গাজী। তবে সেখানে ঘের মালিককে না পাওয়া গেলেও পাওয়া যায় তার বেতনভুক্ত কর্মচারী দূর্গাবাটি গ্রামের গিরেন্দ্র সরদারের ছেলে অশোক সরদার। নদীর চর কাটার অনুমতি কোথায় পেয়েছেন জানতে চাইলে ভাবগাম্ভীর্যের সহিত অশোক সরদার জানান, ‘ঘেরের মালিক কাটতে বলেছে তাই কেটেছি’। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম আবুজর গিফারীকে জানানো হলে তিনি ফোনালাপে জানান, ‘এটা খুবই ন্যক্কারজনক কাজ। আমি এক্ষুনি বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠাচ্ছি’। বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ‘এটি তো আমাদের আওতাধীন নয়, এটি ওয়াপদা বিভাগের দায়িত্ব। তখন তিনি এলাকাবাসীকে ওয়াপদা অফিসের স্মরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন’।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বুড়িগোয়ালিনী এলাকার সেকশন অফিসার (এস.ও) শাহানাজ পারভীন এ প্রতিবেদককে জানান, ‘আমি বিকালে ঘটনাস্থলে যাই এবং উক্ত ঘের মালিককে মৌখিকভাবে হুঁশিয়ারি এবং সাবধান করে দিয়ে আসছি। তার কর্মচারীও উক্ত অবৈধ নাইন্টি দ্রæত তুলে ফেলার আশ্বাস দিয়েছেন। তারা যদি অবৈধ নাইন্টি আজ রাতের মধ্যে না সরায় তাহলে আমি উক্ত ঘের মালিক এবং তার কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হব।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version