Site icon suprovatsatkhira.com

বীজ সংরক্ষণে সরিষা ও মসুরের উৎপাদন কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ

নিজস্ব প্রতিনিধি : আমন ধান কর্তন পূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থাপনা বীজ সংরক্ষণ এবং সরিষা ও মসুরের উৎপাদন কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (০৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিনেরপোতা’র বিনা উপকেন্দ্র’র ট্রেনিং হলরুমে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র সাতক্ষীরা এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার সহযোগিতায় বিনা উপকেন্দ্র’র ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সাতক্ষীরা’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মো. রোক্নূজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ময়মনসিংহ বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিনা উদ্ভাবিত লবণ সহনশীল ধানের জাত অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিশেষ করে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট লবণাক্ত এলাকায় লবণ পানি প্রবেশ করে যার মাত্রা ১০/১২ ডিএস/মিটার। সাতক্ষীরায় আম্পানের কারণে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করায় অনেক আবাদি জমি অনাবাদি হয়ে পড়েছে। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন এ সমস্ত এলাকায় লবণ সহনশীল জাতের ধানের জাত সম্প্রসারণ করার আহŸান জানান। সাতক্ষীরা জেলার নারী কৃষাণীরা পুরুষের পাশাপাশি অনেক বেশি উদ্যোগী। আমন ধানের আগামজাত কেটে খুব সহজে সরিষা, আলু, সবজি ও গম লাগাতে পারেন। বিনা ধান- ১৭ এর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, এর ফলন অনেক বেশি। বিঘা প্রতি ২৫ মণের বেশি ফলন পাচ্ছে কৃষক এবং বিনা ধান ১৬ সবচেয়ে আগাম জাত এর জীবনকাল মাত্র ১০০ দিন। মাননীয় কৃষি মন্ত্র বিনা ধান-১৬ এর প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। যেখানে এক থেকে তিন ফসলি জমি সেখানে বিনা ধান- ১৬ চাষাবাদের সুবিধা অনেক বেশি। জোয়ারভাটা অঞ্চলে বিনা ধান- ২৩ চাষাবাদ করা যাবে।’ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিনা, ময়মনসিংহ মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কৃষিতত্ত¡ বিভাগীয় প্রধান ড. মো. মুন্জুরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা’র উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, বিনা ময়মনসিং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, এআরই বিভাগ ও সহযোগী প্রধান গবেষক পিবিআরজি-০৯৮ উপ-প্রকল্প’র মো. আল-আরাফাত তপু, বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সেলিম রেজা, বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রিপন হোসেন, বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরা’র ফার্ম ম্যানেজার মো. ফররুখ আহম্মেদ প্রমুখ। আমন ধান কর্তন পূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থাপনা বীজ সংরক্ষণ এবং সরিষা ও মসুরের উৎপাদন কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণে ৫০জন কৃষক-কৃষাণী, ৫ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, অতিথি ২ জন ও রিসোর্স পারসন ৬ জন মোট ৬৩ জন অংশ নেয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সেলিম রেজা।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version