Site icon suprovatsatkhira.com

কাটিয়ায় টাকা নিয়ে জমি লিখে না দিয়ে দিনমজুর পরিবারকে উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা শহরের মধ্য কাটিয়ায় চার লাখ টাকা নিয়ে জমি রেজিষ্ট্রি করে না দিয়ে এক দিনমজুর পরিবারকে মারপিট করে উচ্ছেদের চেষ্টা চালানো হয়েছে। পুলিশ মামলা না নিয়ে উপরন্তু হামলাকারিদের পক্ষ নেওয়ায় ওই পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। মধ্য কাটিয়ার ইজিবাইক চালক রবিউল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন বলেন, মধ্যকাটিয়ার আব্দুল খালেক ওরফে মানিকের ছেলে মতিয়ার রহমানের বাড়িতে তারা ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন। তিন শতক জমি তিন লাখ টাকার বিনিময়ে লিখে দেওয়ার শর্তে স¤প্রতি মতিয়ার রহমান নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সেখানে টিন দিয়ে ঘর বানিয়ে নিয়ে বসবাস করতে বলেন। জমি লিখে দিতে বললে দাম বেড়ে গেছে এমন অজুহহাত দেখিয়ে আরো এক লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়েও লিখে দিচ্ছেন না। উপরন্তু টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে হামলা করে মামলা দিয়ে তাদেরকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করছেন।
তিনি আরো জানান, জমি লিখে না দেওয়ায় কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে নয়টার দিকে মতিয়ার রহমান ও তার ছেলে সুজনসহ কয়েকজন তাকে ও তার স্বামী রবিউলকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বিষয়টি নিয়ে পরদিন থানায় এজাহার দিলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে থানায় ফিরে যেয়ে আসামীদের দারা প্রভাবিত হয়ে তার স্বামীকে মোবাইলে পাল্টা হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে তিনি মতিয়ার রহমান ও সুজনের নাম উলে¬খ করে ২০ অক্টোবর আদালতে মামলা করেন। মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবীর বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। মামলার খবর পেয়ে মতিয়ার রহমান, আতিয়ার রহমান, সুজন ও সুমন তাদের ঘরে ঢুকে ভাঙচুরের চেষ্টা ও জীবননাশের হুমকি দিলে তিনি গত ১৮ অক্টোবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। পরবর্তীতে তারা জানতে পারেন আদালতে তারা মামলা করার আগেই হামলাকারিদের পক্ষে সুমন হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন বাদি হয়ে তাকেসহ তার স্বামী ও শ্বাশুড়ি রাবেয়া খাতুনের নামে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলার তদন্তভার তারা থানায় নিয়েছে।
তবে মতিয়ার রহমান বলেন, ভাড়া দিয়ে রাবেয়া না উঠে জমির দখল নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version