Site icon suprovatsatkhira.com

করোনার থাবা থেকে মুক্ত হলো সুন্দরবন মিলেছে পর্যটকদের ভ্রমণের অনুমতি

মুন্সিগঞ্জ (শ্যামনগর) প্রতিনিধি : দীর্ঘ সাড়ে সাত মাস বন্ধ থাকার পর আজ রবিবার ১লা নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সুন্দরবন। তবে সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য মানতে হবে ৫টি শর্ত। শর্তের মধ্যে ট্রলারে ২০ জনের বেশি পর্যটক বহন করতে পারবে না। পর্যটকরা খাদ্য ছাড়া অন্য কোন পণ্য বহন করতে পারবে না। প্রতিটি ট্রলারে স্যানিটারাইজ ও বর্জ্য ফেলার জন্য ডাস্টবিনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ট্রলারে কোন প্রকার সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে না। গত শনিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের পক্ষ থেকে ট্রলার মালিকদের সাথে আলোচনা সভায় এ শর্ত জানানো হয়েছে। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ, সুন্দরবন কলাগাছিয়া টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ হাবিব, কোবাদক স্টেশনের কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসির উদ্দীনসহ ট্রলার মালিকরা। সহকারী বন সংরক্ষক সুলতান আহমেদ বলেন, ‘১ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে সেই অনুমতি পাওয়া গেছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের নিয়ম অনুযায়ী ভ্রমণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন পর্যটকরা’। তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণত একটি বড় জাহাজে সর্বোচ্চ ৭৫ জনকে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়। সুন্দরবন ভ্রমণের অনুমতি পেয়ে অনেক খুশি ভ্রমণ পিপাসুরা’। পারুলিয়া থেকে ঘুরতে আসা একজন ভ্রমণ পিপাসু মিলন বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পেরে খুব খুশি হলাম। তিনি আরো বলেন, আমার মনে হয়েছে করোনার থাবা থেকে সুন্দরবনকে রক্ষা করা গেছে’। ট্রলার চালক নূর ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনে পর্যটক নিয়ে যেতে পারি না। সংসার অনেক কষ্টে কাটছিল। অবশেষে আল্লাহ মুখ তুলে তাকিয়েছেন। এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্তত দু’মুঠো খেয়ে বাঁচতে পারব’। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘুরতে আসা ভ্রমণ পিপাসু ও তাদের বহন করে নিয়ে যাওয়া ট্রলার মালিকগণ সর্বোপরি সর্বস্তরের জনগণ।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version