Site icon suprovatsatkhira.com

মানিকখালী মন্দিরে বরাদ্দের চাল আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ

সুন্দরবন অঞ্চল প্রতিনিধি : শ্যামনগরের মানিকখালী মন্দিরের বরাদ্দকৃত চাল ভুয়া তালিকা দিয়ে আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সেক্রেটারি অ্যাড. কৃষ্ণপদ মন্ডলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মানিকখালী মন্দির কমিটির সেক্রেটারি বীরেন্দ্র নাথ গায়েন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ‘রমজাননগর ইউনিয়নের সব চেয়ে বড় মন্দির হচ্ছে মানিকখালী মন্দির। প্রতি বছর সরকার থেকে দুর্গা পূজায় এই মন্দিরে ৫শ’ কেজি জি আর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। মন্দিরে চাল বরাদ্দের জন্য পূজা উদ্যাপন কমিটির সেক্রেটারি অ্যাড. কৃষ্ণপদ মন্ডল শ্যামনগর উপজেলার মন্দির সমূহের তালিকা প্রদান করেন। চলতি বছর মন্দির সমূহের তালিকায় রমজাননগরের মন্দির সমূহের তালিকার মধ্যে ভুয়া নাম দিয়ে চাল আত্মসাতের চেষ্টা করলে বিষয়টি মানিকখালী মন্দির কমিটির নজরে আসে। মানিকখালী মন্দির কমিটির লোকজন অ্যাড. কৃষ্ণপদ মন্ডলের সাথে দেখা করলে তিনি মানিকখালী মন্দির কমিটির তালিকা অনুমোদিত বলে স্বাক্ষর করে মন্দির কমিটির কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। মন্দির কমিটি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তিনি তার স্বাক্ষর কেটে দেন। অভিযোগে তারা আত্মসাৎ চেষ্টার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করা হয়েছে’। শ্যামনগর পূজা উদ্যাপন কমিটির সেক্রেটারি অ্যাড. কৃষ্ণপদ মন্ডল জানান, ‘আমি ওই কমিটির তালিকায় অনেক ভিড়ের মধ্যে স্বাক্ষর করেছিলাম। পরবর্তীতে সিল মারার সময় দেখতে পাই কমিটির তালিকায় সার্বজনীন পূজা মন্দির লেখা। যে কারণে আমি স্বাক্ষর কেটে দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে তাদের রেজুলেশনের কপি আনতে বলেছিলাম কিন্তু তারা নিয়ে আসেনি। তাছাড়া আমার উপর আনীত অভিযোগটি সঠিক নয়’। এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম আবুজর গিফারী জানান, ‘তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে’।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version