Site icon suprovatsatkhira.com

খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নের দাবিতে আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি : সকল মানুষের জীবিকা, খাদ্য এবং পুষ্টি নিরাপত্তায় ‘খাদ্য অধিকার আইন’ প্রণয়নের দাবিতে মাসব্যাপী খাদ্য অধিকার প্রচারাভিযান এর অংশ হিসাবে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি) বাংলাদেশ ও প্রগতিসহ স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থাসমূহের আয়োজনে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, ‘খাদ্য একটি মৌলিক অধিকার। বাংলাদেশে মোটামুটিভাবে খাদ্য অধিকার নিশ্চিত আছে। দেশের কোন মানুষ না খেয়ে থাকে না। এক লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার পাঁচ শত সত্ত¡র বর্গ কিলোমিটার ভূখÐে আমরা প্রায় আঠারো কোটি মানুষ বসবাস করি। এই ছোট্ট ভূখÐে এতগুলো মানুষের বসবাস সত্তে¡ও আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের দেশে কোন মানুষ না খেয়ে থাকে না। তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরার মাটি অত্যন্ত উর্বর। যেকোনো জায়গায় যেকোনো বীজ ফেলে দিলে তা উৎপাদন হয়। সাতক্ষীরা কোন দিক থেকে পিছিয়ে নেই। ধান, মাছ, মাংস উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ।’
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রাসেল, ‘স্বদেশ’র নির্বাহী পরিচালক মাধব দত্ত, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. বদরুজ্জামান প্রমুখ। প্রসঙ্গত, ক্ষুধা মুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলার পাশাপাশি স্থ‚লতা ও অপুষ্টিজনিত জটিলতার বিষয়ে বিশ্বব্যাপী জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৪৫ সাল থেকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা (এফএও) প্রতিবছর ১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস পালন করে আসছে। এই বছর বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘এৎড়,ি ঘড়ঁৎরংয, ঝঁংঃধরহ ঞড়মবঃযবৎ’ আমাদের সরকার এই বছর প্রতিপাদ্য ঠিক করেছে, ‘সবাইকে নিয়ে একসাথে বিকশিত হোন, শরীরের যতœ নিন, সুস্থ থাকুন, আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিভিন্ন এনজিও ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ‘প্রগতি’র প্রধান নির্বাহী ও দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version