খাজরা (আশাশুনি) প্রতিনিধি : আশাশুনির খাজরায় মাদুর তৈরির প্রধান কাঁচামাল মাল্লি (স্থানীয় ভাষায়) সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কারিগররা। এই পেশায় অসচ্ছল পরিবারের নারী-পুরুষরা নিজেদের ভাগ্য বদল করছেন। সংসারের অভাব দূর করে তারা এখন স্বাবলম্বী। তাদের স্বাবলম্বী হতে দেখে অনেকেই ঝুঁকছেন এ পেশায়। বুধবার (২১ অক্টোবর) সকালে ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, খালিয়া, পিরোজপুর, ফটিকখালী, তুয়ারডাঙ্গা গ্রামে রাস্তার পাশে, স্কুলের মাঠে, বাড়ির আঙিনায় নারী-পুরুষ মিলে মাল্লি রোদে শুকাতে ব্যস্ত। অনেকে আবার ক্ষেত থেকে মাল্লি কাটছেন। পিরোজপুর গ্রামের মৃত বীরেন্দ্রনাথ ঢালীর পুত্র চিত্তরঞ্জন ঢালী জানান, ‘আমি প্রায় ২০ বছর ধরে এই মাদুর তৈরি করা পেশায় যুক্ত। এটি লাভ জনকও। সারা বছর মাদুর বিক্রি করে আমার সংসার ও অনার্স পড়–য়া সন্তানের লেখা পড়ার খরচ জোগায়’। তিনি আরও জানান, ‘প্রতি ২ আটিতে ৩টি মাদুর হয়। ৪শ’ টাকা সব মিলে খরচ হয়। বাজারে চাহিদা বাড়লে ৮শ’ টাকা বিক্রি হয়’। খালিয়া গ্রামের সুবোধ মন্ডল জানান, ‘মাদুর বোনা পেশাটি যদিও লাভজনক, তবে আমার মত অনেকে অল্প পুঁজির ক্ষুদ্র কারিগররা সমিতি থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করি। সরকার যদি এই কুটির শিল্পে নিয়োজিত কারিগরদের বিনা সুদে লোন দিত, তাহলে এক দিকে যেমন দেশীয় ঐতিহ্য টিকে থাকতো অন্য দিকে আমরা দু’বেলা খেয়ে পরে বাঁচতে পারতাম’। আঞ্চলিক এ কুটির শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ইউনিয়নের মাদুর তৈরির কারিগররা।
খাজরায় মাদুর শিল্পের কাঁচামাল সংগ্রহে ব্যস্ত কারিগররা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/